প্রতীকী ছবি।
‘অপহরণ কাণ্ডে পাওয়া’ নগদ অর্থ পাচার করতে গিয়ে এনএলএফটির এক কট্টর জঙ্গি আজ ধরা পড়েছে তেলিয়ামুরা মহকুমায়। ধৃতের নাম মন্টু দেববর্মা। ত্রিপুরার খোয়াই জেলার এসপি কিরণ কুমার জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর ছিল, এক সন্ত্রাসবাদী গাড়ি করে কিছু নগদ অর্থ নিয়ে আসবে। গাড়ির নম্বরও পেয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তাদের একটি দল শুক্রবার সকাল থেকেই ওত পেতে ছিল। দুপুরে নির্দিষ্টি নম্বরের গাড়িটি এলেই পুলিশ মন্টুকে আটক করে। উদ্ধার হয় নগদ অর্থ।
মন্টুকে জেরা করে ও অন্যান্য সূত্রে এ পর্যন্ত পুলিশ যা জেনেছে, তা এই রকম: টাকাগুলি সে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা থেকে নিয়ে আসছিল। কিছু দিন আগেই সে এনএলএফটি-তে যোগ দিয়েছে। তার উপরে নির্দেশ ছিল, তেলিয়ামুরায় দিলীপ দেববর্মার স্ত্রীর কাছে ওই টাকা পৌঁছে দিতে হবে। এনএলএফটি জঙ্গি দিলীপ বর্তমানে ফেরার।
এসপি জানিয়েছেন, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ধলাই জেলার গঙ্গানগর থেকে যে তিন জন শ্রমিককে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা, সেই ঘটনায় মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা অর্থেরই একটি অংশ নিয়ে আসছিল মন্টু। পুলিশের হেফাজতে রেখে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলেই পুরো ঘটনাটি জানা যাবে। সোমবার খোয়াই কোর্টে পেশ করে পুলিশ মন্টুকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানাবে।
ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা বাড়তে থাকায় কাজ বেড়েছে পুলিশেরও। ডিজিপি এর আগে জানিয়েছিলেন, বিএসএফ ও তাদের এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশির চাপেই জঙ্গিরা ওই তিন অপহৃতকে অক্ষত ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মুক্তির জন্য যে নগদ মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছিল, তখন সেটি প্রকাশ করা হয়নি। এমনও হতে পারে, চার জঙ্গি ওই সময় অস্ত্র-সহ ডিজিপির কাছে আত্মসমর্পণ করলেও, চক্রের বাকিদের হদিস পেতেই হয়তো কৌশল হিসেবে টাকা দেওয়ার বিষয়টি তখনকার মতো সামনে আনা হয়নি। এবং সেই টাকার সূত্রেই ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে এই সাফল্য পেল ত্রিপুরা পুলিশ।