জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি সেনার। ছবি: পিটিআই।
জঙ্গিদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন পঞ্জাবের আরও এক শ্রমিক। চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। মৃত ওই শ্রমিকের নাম রোহিত মসিহ। বয়স ২৫।
বুধবার সন্ধ্যায় শ্রীনগরের শহিদ গুঞ্জে এক দল জঙ্গি হামলা চালায়। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে পঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রমিক অৃতপাল সিংহের। তাঁর মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। পেটে গুলি করা হয়েছিল রোহিতের। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হামলার পর ১২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, কিন্তু এখনও জঙ্গিদের কোনও হদিস পায়নি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার যৌথবাহিনী।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ হাব্বা কাদালের শল্লা কাদাল এলাকায় ঢুকে পড়েছিল এক দল জঙ্গি। অমৃতপাল এবং রোহিতকে ঘর থেকে বার করে আনে জঙ্গিরা। তার পর অমৃতপালের মাথায় একে ৪৭ দিয়ে গুলি করে। গুলি করা হয় রোহিতের পেটেও। স্থানীয়দের দাবি, জঙ্গিরা ভিন্রাজ্যের ওই দুই শ্রমিককে গুলি করার পর এলাকা ছেড়ে চলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অমৃতপালের দেহ উদ্ধার করে। এ বছরে এই প্রথম ভিন্রাজ্যের শ্রমিকদের উপর হামলা চালাল জঙ্গিরা। গত বছরে অনন্তনাগ এবং শোপিয়ানে ভিন্রাজ্যের শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের গোড়া থেকেই জঙ্গিরা বেছে বেছে কাশ্মীর উপত্যকায় অমুসলিমদের নিশানা করছে। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু পণ্ডিত এবং শিখদের একাংশ ফের উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন। হিন্দু পণ্ডিতদের অবিলম্বে কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-ইসলাম। দুই শ্রমিকের খুনের নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি।