রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাতে রেলস্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাবপত্র তুলে দিচ্ছেন বিজেপি সাংসদ দেবেন্দ্র সিংহ ভোলে। ছবি: সংগৃহীত।
আগেই আটটি রেলস্টেশনের নাম বদল হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। এ বার আরও একটি স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব উঠল। তা নিয়ে ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়ে গিয়েছে। নাম বদলের আর্জি জানিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠিয়েছেন আকবরপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ দেবেন্দ্র সিংহ ভোলে।
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ। সেখানেই তাঁর হাতে স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাবপত্র তুলে দেন তিনি। কানপুর-বান্দা ডিভিশনের কঠারা রোড রেলস্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব করেছেন সাংসদ। তার পরিবর্তে ওই স্টেশনের নাম ‘কঠারা ধাম’ রাখা হোক বলেই সাংসদ তাঁর প্রস্তাবপত্রে উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে সাংসদ দেবেন্দ্র সিংহের যুক্তি, কঠারা গ্রামের ঐতিহাসিক, ধার্মিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে। তাই সেগুলির সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই রেলস্টেশনের নাম ‘কঠারা ধাম’ করা উচিত বলে মনে করেন সাংসদ।
সাংসদ আরও জানান, এখানে ৩০০ বছরের পুরনো বাঁকে বিহারী মন্দির রয়েছে। যা রাজ্যের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থল। এখানে ধুমধাম করে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এবং দেশের বিভিন্ন কোনা থেকে বহু পর্যটক কঠারায় আসেন। এই অঞ্চলের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই কঠারা রোড স্টেশনের নাম বদলের ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। সম্প্রতি লখনউ ডিভিশনের আটটি স্টেশনের নাম বদলেছে রেল। তার মধ্যে রয়েছে জায়স স্টেশন। নাম বদলে রাখা হয়েছে গোরক্ষনাথ ধাম। অকবরগঞ্জ স্টেশনের নাম হয়েছে মা অহোরওয়া ভবানী ধাম। ফুরসতগঞ্জের নাম রাখা হয়েছে তপেশ্বর ধাম, ওয়ারিসগঞ্জ স্টেশনের নাম বদলে শহিদ ভালে সুলতান, নিহালগড়ের নাম মহারাজা বিজলি পাসি স্টেশন, ওয়ানির নাম স্বামী পরমহংস স্টেশন, মিসরৌলির নাম মা কালিকান ধাম এবং কাশিমপুর হল্টের নাম বদলে রাখা হয়েছে জায়স সিটি।