Murshidabad Goods Train Accident

ফরাক্কায় চলতে চলতেই দু’ভাগ মালগাড়ি! খুলে গেল একাধিক বগি, তবে লাইনচ্যুত না হওয়ায় রক্ষা

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি মালগাড়ি ধুলিয়ানের দিক থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। আচমকা তার কয়েকটি কামরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই কামরাগুলিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় ইঞ্জিন-সহ বাকি কামরাগুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৯
Share:

ফরাক্কায় চলন্ত মালগাড়ির বিচ্ছিন্ন কামরা। — নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল মালগাড়ি। চলতে চলতেই আচমকা ওই মালগাড়িটি দু’ভাগ হয়ে যায় বলে খবর। কয়েকটি কামরা-সহ মালগাড়ির ইঞ্জিন বাকি ট্রেনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে কোনও কামরা লাইনচ্যুত হয়নি। তাই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফরাক্কায়।

Advertisement

ফরাক্কা থানার খোদাবন্দপুর এলাকার ঘটনা। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ খোদাবন্দপুরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা চলন্ত মালগাড়ির কয়েকটি কামরা মূল ইঞ্জিনের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই মালগাড়িটি ধুলিয়ানের দিক থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। চলতে চলতে আচমকা কয়েকটি কামরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই কামরাগুলিকে পিছনে ফেলে বেশ খানিকটা এগিয়ে যায় ইঞ্জিন-সহ বাকি কামরাগুলি। তবে কোনও কামরা লাইন থেকে বেরিয়ে যায়নি। লাইনের উপরেই দাঁড়িয়েছিল বিচ্ছিন্ন কামরাগুলিও। ফলে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। এই ঘটনায় কারও কোনও আঘাত লাগার খবরও নেই।

মালগাড়ির কামরা খুলে যাওয়ার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিকেরা। এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত মালগাড়ির বিচ্ছিন্ন কামরাগুলিকে মূল ট্রেনের সঙ্গে জোড়া লাগানোর চেষ্টা চলছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, মালগাড়িতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, লাইনে কোনও গোলমাল ছিল না, সে সব খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে রেলপুলিশের আধিকারিকেরাও পৌঁছেছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। গত বছর ওড়িশায় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর একের পর এক দুর্ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কিছু দিন আগে উত্তরপ্রদেশে আমদাবাদগামী সবরমতী এক্সপ্রেসের ২২টি বগি আলাদা হয়ে গিয়েছিল। সে সময় ট্রেনে ছিলেন প্রায় ২২০০ যাত্রী। এর আগে জুলাই মাসে গোন্ডায় লাইনচ্যুত হয় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। সে দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয় কয়েক জন যাত্রীর। জুলাই মাসে নিউ জলপাইগুড়ির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঝাড়খণ্ডে হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement