—প্রতীকী চিত্র।
গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গণপিটুনিতে আবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মহারাষ্ট্রের নাসিকে গাড়িতে করে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দু’জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক দল যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
গত ২৪ জুন গাড়িতে করে মুম্বই যাচ্ছিলেন নাসির শেখ এবং আফান আব্দুল মজিদ নামে দুই যুবক। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি থামান কয়েক জন। অভিযোগ, নাসিরদের গাড়িতে গোমাংস রাখা ছিল। তার পরই জনা পনেরো যুবক নাসিরদের উপর চড়াও হন। লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
পরে গুরুতর জখম অবস্থায় নাসির এবং মজিদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন সেখানে মজিদের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
গোমাংস নিয়ে যাওয়ার সন্দেহে আগেও গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত মার্চ মাসে বিহারের সারণ জেলায় গণপিটুনিতে ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে, ২০১৭ সালে ৫৫ বছরের দুধ ব্যবসায়ী পেহলু ও তাঁর দুই ছেলে জয়পুরের এক মেলা থেকে গরু কিনে হরিয়ানায় বাড়িতে ফিরছিলেন। জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কে তাঁদের আটকান গোরক্ষকেরা। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। হাসপাতালে তিন দিন পরে মারা যান পেহলু। যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছেল দেশে। ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরির বিসারা গ্রামে গুজব রটে গিয়েছিল, মহম্মদ আখলাকের বাড়িতে গরুর মাংস রয়েছে। গ্রামের মানুষ হামলা চালায় আখলাকের বাড়িতে। গণপিটুনিতে মারা যান ৫২ বছরের আখলাক।