ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং এসএসবি-র জওয়ানরা। ছবি. সংগৃহীত।
নেপাল পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ঘিরে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভারত-নেপাল সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী এবং সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) জওয়ানরা। নিহতের নাম গোবিন্দ সিংহ (২৬)। এই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আরও ১ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে।
পিলভিটের পুলিশ সুপার জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, নেপাল সীমান্ত লাগোয় উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের হাজারা থানা এলাকার রাঘবপুরী টিলা নম্বর ৪ গ্রাম থেকে ৩ বন্ধু গোবিন্দ সিংহ, গুরমিত সিংহ এবং পাপ্পু সিংহ নেপালের বেলোরি বাজারে কিছু কাজের জন্য গিয়েছিলেন। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় কোনও বিষয় নিয়ে ওই ৩ জনের বচসা হয় বলে জানা গিয়েছে। তখনই নেপাল পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন গোবিন্দ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
জয়প্রকাশ আরও জানিয়েছেন, গোবিন্দর ২ সঙ্গীর মধ্যে এক জন এখনও নিখোঁজ। অন্য জন কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে ভারতে ফিরে আসেন। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সীমান্তলাগোয়া গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁরা সীমান্তে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে গ্রামবাসীদের শান্ত করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, যে যুবক ফিরে এসেছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে সেখানে ঠিক কী হয়েছিল। কী থেকে বচসার সূত্রপাত— সব কিছু জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এই প্রথম নয়, গত বছরের জুনে ভারত-নেপাল সীমান্তলাগোয়া বিহারের সীতামঢ়ী জেলার মাহোবা গ্রামের এক কৃষকের মৃত্যু হয় নেপাল পুলিশের গুলিতে। আহত হন আরও ৩ জন। এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছিল, লালবন্দি-জানকীনগর পঞ্চায়েত এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে এসে ভারতীয় কৃষকদের চাষের কাজে বাধা দেয় নেপাল পুলিশের কয়েক জন অফিসার। কৃষকদের সঙ্গে বচসার মাঝেই আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে নেপাল পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিকাশকুমার রাই নামে এক কৃষকের। আরও এক কৃষককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে নেপাল পুলিশের বিরুদ্ধে।