একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে শিলচর-ধোয়ারবন্দ সড়কে। প্রতিবাদে এলাকাবাসী আজ সকালে রাস্তা অবরোধ করেন। বেলা ১টায় পুলিশকর্তাদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রাতে ১০টা নাগাদ শিলকুড়ি হাসপাতালের সামনে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২২ বছরের যুবক সালুউদ্দিন। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। দুর্ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। এ দিন সকালে এলাকাবাসী ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিলচর-ধোয়ারবন্দ সড়কে অবরোধ করেন। দু’দিকে প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। সমস্যায় পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীরা। আগামী কাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বলে কর্মচারীদের প্রচুর কাজ রয়েছে। সমাবর্তনের পোশাক সংগ্রহ, মহড়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছনো জরুরি ছিল।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সালুউদ্দিনের মৃত্যু একমাত্র ঘটনা নয়। এই সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সে জন্য দায়ী চালকরা। অধিকাংশ চালক কমবয়সী। তাঁরা অত্যধিক বেগে গাড়ি চালান। যানচালনার নিয়মনীতি মানেন না। ক্ষুব্ধ জনতা গত কাল যে গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে, তাকে শনাক্ত করার জন্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেন। গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা ও চালক গ্রেফতারের দাবি করেন তাঁরা। স্কুল, হাসপাতাল ও মন্দিরের সামনে ‘স্পিড ব্রেকার’ তৈরি এবং মৃতের নিকটাত্মীয়কে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতেও অনুরোধ জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রমনদীপ কৌর শিলকুড়িতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। বেলা ১টায় অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
কৌর জানান, গাড়িটিকে খুঁজে বের করতে সমস্ত সূত্রকে তাঁরা কাজে লাগিয়েছেন। ক্ষতিপূরণ, স্পিড ব্রেকার তৈরি, চালকদের কাগজপত্র পরীক্ষার মতো বিষয়গুলি নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।