মেনকা গাঁধী। —ফাইল চিত্র
কেরলের পলক্কড়ে গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর তদন্তে একজনকে গ্রেফতার করল রাজ্যের বন দফতর। ধৃত উইলসন একটি রবার বাগিচার কর্মী। ধৃতের সঙ্গী দু’জনের খোঁজ চলছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, এরা তিন জনে মিলে নারকেলের মধ্যে বাজি রেখেছিল। সেটি খেয়েই হাতিটি মারা যায়।
হাতি-মৃত্যুর তদন্তের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও অব্যাহত। হাতির মৃত্যু নিয়ে আসরে নেমে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী মেনকা গাঁধী ঘটনাটি মলপ্পুরমের বলে মন্তব্য করেন। মেনকা ইচ্ছাকৃত ভাবে মলপ্পুরমের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।
হাতি-মৃত্যুতে বিজেপির ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব পরিবেশ কর্মীদের অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদীর শাসনে উন্নয়নের নামে কয়েক লক্ষ হেক্টর অরণ্য সাফ করে ফেলা হয়েছে। গত বছর মেনকার দীর্ঘদিনের লোকসভা কেন্দ্র পিলিভিটে একটি বাঘকে ক্যামেরার সামনে পিটিয়ে খুন করা হয়। কয়েক বছর আগে এক বিজেপি বিধায়কের মারে জখম হয়ে একটি পুলিশের ঘোড়া মারা যায়। সে সব ঘটনায় বিজেপি চুপ ছিল। পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, উন্নয়নের নামে যে ভাবে প্রতিদিন অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে প্রাণীরা আরও বেশি করে খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে হানা দেবে। বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে মানুষের সঙ্ঘাতও বাড়বে।
আরও পড়ুন: সাবধান না হলেই বিপদ, বার্তা হু-র