মথুরায় দুই পুলিশকর্মী খুনে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত চন্দন বসুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আজ মথুরার কাছে পরশুরামপুর এলাকার একটি গ্রাম থেকে ধরা পড়ে চন্দন। তার স্ত্রীকে-ও থানায় আনা হয়েছে।
চলতি মাসের দু’তারিখে স্বাধীন ভারত সুভাষ সেনা দলের একদল বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত হন ২৯ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পুলিশ অধিকর্তা সন্তোষ যাদব ও মুকুল দ্বিবেদী।
ঠিক কী হয়েছিল ওই দিন?
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৪ -র মার্চ মাসে মথুরার জওহরবাগে দু’দিনের জন্য ধর্নায় বসার অনুমতি চেয়েছিল স্বাধীন ভারত সুভাষ সেনা নামের একটি সংগঠন। আবেদন মঞ্জুর করে প্রশাসন। কিন্তু দু’দিন পরেও ধর্না উঠে যায়নি। দু’বছর পরেও না। উল্টে ২৭০ একরের পার্কে অস্থায়ী কাঠামো গড়ে জাঁকিয়ে বসে সংগঠনের আড়াই থেকে তিন হাজার অনুগামী।
কিছু দিন আগে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই জমি খালি করার নির্দেশ দেয়। আর তা করতে গিয়েই ধুন্ধুমার। মথুরা (সিটি) এসপি মুকুল দ্বিবেদী নিজে নেতৃত্ব দেন অভিযানের। পুলিশ জানিয়েছে, একেবারে প্রথম সারিতে ছিলেন মুকুল ও ফারহা থানার স্টেশন অফিসার সন্তোষ কুমার। বিক্ষোভকারীরা লাঠি, কুডু়ল, তরোয়াল নিয়ে পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু আচমকা গাছের উপর থেকে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়তে থাকে এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন মুকুল দ্বিবেদী ও সন্তোষ কুমার।
এর পর আসে র্যাফ ও পুলিশ। গুলি চালায় জওয়ানরাও। পাল্টা প্রতিরোধে পিছিয়ে যেতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ ও বিক্ষোভকারী মিলিয়ে ২৯ জন মারা যান সে দিন। প্রাথমিক তদন্তের পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মূল অপরাধীদের নাম জানায়। রামবিকাশ যাদব, চন্দন বসু, গিরিশ যাদব ও রাকেশ বাবু গুপ্ত। আজ চন্দন বসুকে গ্রেফতার করার পরে তাকে জেরা করতে শুরু করেছে পুলিশ। সে দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন
চন্দনের স্ত্রী-ও।