Rajasthan Gang Rape

কিশোরীকে গণধর্ষণ! নিখোঁজ ডায়েরি লিখিয়ে ফেরার পথে রাস্তায় বিধ্বস্ত মেয়েকে উদ্ধার বাবার

স্কুলে যাওয়ার পথে ১৩ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। তিন জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জনের খোঁজ চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১০
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

১৩ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল রাজস্থানে। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দু’জনই পলাতক। ওই কিশোরীকে তার স্কুলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার বাবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন। থানা থেকে ফেরার পথে রাস্তায় বিধ্বস্ত মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

Advertisement

রাজস্থানের ফলোদির ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে অন্যান্য দিনের মতোই স্কুলে যাচ্ছিল কিশোরী। স্কুলের সামনেই গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিন অভিযুক্ত। সকাল ১০টা নাগাদ কিশোরীকে সেই গাড়িতে তোলা হয় জোর করে। স্কুলে ঢোকার মুখেই তাকে অপহরণ করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচ থেকে ছ’কিলোমিটার দূরের একটি নিরিবিলি এলাকায়। সেখানে কিশোরীকে তিন জন মিলে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ।

লোহাওয়াট সার্কেলের ডিএসপি সংগ্রাম সিংহ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ২১ বছরের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কিশোরীর বাবার পরিচিত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ স্কুল কর্তৃপক্ষই কিশোরীর বাবাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, তাঁর কন্যা স্কুলে আসেনি। তার পর হন্যে হয়ে কিশোরীর খোঁজ শুরু করেন বাবা। মেয়েকে না-পেয়ে থানায় যান তিনি। নিখোঁজ ডায়েরি লেখান। থানা থেকে ফেরার পথেই রাস্তার ধারে মেয়েকে তিনি পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে শারীরিক নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতাল থেকেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলে কিশোরী। সে জানায়, তিন জন মিলে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাকে ধর্ষণ করেছেন। পরে কেউ এক জন এসে তাঁদের জানান, কিশোরীর বাবা থানায় গিয়েছেন। তার পরেই তাকে রাস্তার ধারে ফেলে পালান অভিযুক্তেরা। তিন জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী ধর্ষণ, গণধর্ষণ, অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। পকসো আইনেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরীর বাবা কৃষক। যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি কিশোরীর বাবার সঙ্গে একসময়ে কাজও করেছেন। ভিন্‌রাজ্যে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন তিনি, জানিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement