বিক্ষোভ: সেনার গুলিতে তনবীর আহমেদ ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে কাশ্মীরের বিরওয়া। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুন্দরবনি সেক্টরে গুলি চালায় পাক সেনা। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। পাক সেনার গুলিতে নিহত হয়েছেন জয়দ্রথ সিংহ নামে এক জওয়ান।
এ দিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বন্ধের মধ্যেই সেনার গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরেও নতুন করে অশান্তি ছড়াল কাশ্মীরে। সেনার দাবি, পাথর ছোড়ার পাশাপাশি কনভয়ে হামলা চালিয়ে রাইফেল ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল একদল যুবক। তখন বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়। পুলিশ অবশ্য সেনার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে।
সরকারি সূত্রের খবর, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি গিলানি, ইয়াসিন মালিক ও মিরওয়াইজ উমর ফারুকের ডাকা শুক্রবারের বন্ধে কাশ্মীরের জনজীবন ছিল একেবারে স্তব্ধ। তার মধ্যেই দুপুরে বাদগাম জেলার বিরওয়া-য় টহলরত সেনার কনভয় লক্ষ করে এক দল লোক পাথর ছুড়তে শুরু করে। সে সময় আচমকাই ভিড় লক্ষ করে গুলি চালান ৫৩ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানেরা। তখনই তনবীর আহমেদ ওয়ানি নামে বছর কুড়ির ওই যুবকের মাথায় গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বাদগামের এসএসপি তিজেন্দর সিংহ আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘গুলি চালানোর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আইন মেনে তদন্তও হবে।’’ ক্ষুব্ধ জনতা এতেও শান্ত হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করা হয়েছে। আগামিকাল পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের একাংশের।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের বাড়ি বিরওয়া-র আরওয়া গ্রামে। বয়স কুড়ির ওই যুবক দর্জির কাজ করতেন। সেনার গুলিতে গোরিপোড়া গ্রামের মেহরাজউদ্দিন নামে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে বোদগাম জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।