ছবি: পিটিআই।
সারদা-রোজ ভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই-ইডি। ফের বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক পড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যেই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কারবার রুখতে নরেন্দ্র মোদী সরকার ফের সংসদে বিল পাশ করাতে উদ্যোগী হচ্ছে। নতুন আইনের প্রভাব যে সারদা-রোজ ভ্যালি তদন্তেও পড়বে, তা জানিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘নতুন আইন হলে সেই অনুযায়ী তদন্ত হবে।’’
লোকসভা ভোটের আগেই লোকসভায় ‘ব্যানিং অব আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিমস বিল’ পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। সে সময় বিরোধীদের মধ্যে ঐক্য ওই এক বিলেই দফারফা হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়ে কংগ্রেস, সিপিএম এই বিল সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভায় বিল পাশ না-হওয়ায় তা আইন হতে পারেনি। তবে অর্ডিন্যান্স এনে তা বলবৎ করে সরকার। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই অর্ডিন্যান্সকে পাকাপাকি আইনের চেহারা দিতে চলতি অধিবেশনেই ফের বিল নিয়ে আসা হবে।
নতুন আইনে সেবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের আইনের ফাঁক গলে কোনও সংস্থাই যাতে বেআইনি অর্থলগ্নি ব্যবসা খুলতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সচিব বা তার উঁচু পদমর্যাদার আধিকারিকেরা তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখা থেকে শুরু করে গোটা প্রক্রিয়া দেখভাল করবেন। অতিরিক্ত জেলা বিচারক বা তার উপরের আদালতে এই মামলার বিচার হবে। লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য লগ্নি সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করা হয়েছে। যে কোনও ব্যক্তিকে তলব করা, নথি চাওয়ার ক্ষমতা থাকবে তদন্তকারীদের। এই ধরনের সংস্থায় লগ্নির জন্য সুপারিশ, প্রচার, বা তার এজেন্টদের জন্যও থাকছে কড়া শাস্তির নিদান। তবে অর্ডিন্যান্সের থেকে নতুন বিলে একটি ফারাক থাকবে। তা হল, ব্যবসার জন্য বন্ধু বা আত্মীয়দের থেকে পুঁজি নিলে তা বেআইনি আমানতের আওতায় আসবে না।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।