নরেন্দ্র মোদী।
জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনাই তাঁর লক্ষ্য।
সোমবারই বালির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে তাঁর পার্শ্ববৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, দু’দিনের সফরে সব মিলিয়ে ২০টি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। এই সম্মেলনে যাওয়ার আগে মোদী বলেন, ‘‘এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের আমি দেখা করব। ভারতের সঙ্গে সেই সব দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকও হবে।’’ প্রধানমন্ত্রীই জানান, ১৫ নভেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার বালির প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণও দেবেন তিনি।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ-এর। সরকারি সূত্রেই খবর, সদ্যই ব্রিটেনের মসনদে বসা সুনকের সঙ্গে মোদীর পার্শ্ববৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে জিনপিংয়ের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যদি তা-ই হয়, তা হলে ২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘাতের পর এটাই হবে জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদীর প্রথম বার এক টেবিলে বসা। আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, এই বৈঠক যদি শেষ পর্যন্ত হয়, তবে সেটি নিঃসন্দেহে ভূকৌশলগত দিক দিয়ে বড় ঘটনা হতে চলেছে।