প্রত্যয়ী: বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ বছর এবং দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মশতবার্ষিকী পালনে মোদী। সোমবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে একই সারিতে দীনদয়াল উপাধ্যায়! তাই নিয়েই আজ বক্তৃতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিবেকানন্দের সঙ্গে এক সারিতে দীনদয়ালকে বসানো নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই আজ গোটা বক্তৃতা জুড়ে বারেবারে বাংলার প্রসঙ্গ টেনে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
বিবেকানন্দের প্রসঙ্গ উঠলে বাংলার কথা উঠবে, সেটি স্বাভাবিক। এ দিন সকালেই মোদী ১৮৯৩ সালে শিকাগোয় দেওয়া বিবেকানন্দের যে বক্তৃতা টুইটে শেয়ার করেছেন, সেটিও বেলুড় মঠের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। নিজের সেনাপতি অমিত শাহকে আগেই বলেছিলেন কলকাতায় বিবেকানন্দের জন্মভিটেয় যেতে। মোদী বলেন, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতা আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তি— পরাধীন দেশে এই দুই ঘটনা ভারতে নতুন চেতনা ও শক্তির সঞ্চার করেছিল। আর দু’জনেই বাংলার সন্তান। কত গর্ব হয়, যখন বিদেশে কাউকে বলি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত তৈরি করেছেন।’’ যদিও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথের রচনা নয়, এটি ভুল তথ্য।
বঙ্গ-বন্দনায় এখানেই ইতি না টেনে তুলেছেন রামকৃষ্ণ, সুভাষ চন্দ্র বসুর কথা। উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। কৃষিবিপ্লবের ‘জনক’ হিসেবে ‘ডঃ সেন’-এর কথাও বলেছেন মোদী। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত বশীশ্বর সেনের কথা বলেছেন। যিনি বিবেকানন্দের নামে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’’ বিবেকানন্দকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে এখন ভোটের রুটি সেঁকছে বিজেপি। শিকাগো বক্তৃতায় হিন্দু ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেকানন্দ যে ঘোষণা করেছিলেন, সেটিকে সামনে রেখেই বাংলায় প্রচারে নেমেছে বিজেপি। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘বাংলার মননে রয়েছেন বিবেকানন্দ। নতুন প্রজন্মও তাঁকে চেনে।’’
বাংলায় বিজেপির উত্থানের স্বপ্ন সফল হবে না বলে জানিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ভণ্ডামির সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। ওঁর মুখে স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ মানায় না। তিনি ওঁদের মূল আদর্শের বিরোধী কাজ করেন, অর্থাৎ, মানুষে মানুষে ভাগাভাগি করেন।’’