বুধবার নয়াদিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতীকী ছবি।
প্রতিবন্ধী ছেলেকে দেখভালের জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন ৭১ বছরের বৃদ্ধ। কিন্তু বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে ৩৫ বছর বয়সি সেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন করানোর অভিযোগ উঠল বৃদ্ধ স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার নয়াদিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত এসকে গুপ্তের প্রথম স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা যান। তাঁর ৪৫ বছর বয়সি ছেলে অমিত শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তাই ছেলের দেখভালের জন্য গত বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন অভিযুক্ত। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী নাকি অমিতের দেখাশোনা করতেন না। তাই দেখে বৃদ্ধ এসকে তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বিচ্ছেদের জন্য এসকের কাছে ১ কোটি টাকা দাবি করেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। এর পরই এসকে রেগে গিয়ে স্ত্রীকে মেরে ফেলার ছক কষেন বলে দিল্লির এক পুলিশ অধিকারিক জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিপিন বলে এক যুবক এসকে-র ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। তাঁর সঙ্গে যোগসাজশ করে স্ত্রীকে খুন করার ছক কষেন বৃদ্ধ এসকে। স্ত্রীকে খুন করার জন্য বিপিনের সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকার চুক্তিও করেন তিনি। এমনকি বিপিনকে আগাম আড়াই লক্ষ টাকাও দেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, অভিযুক্ত বিপিন এবং তাঁর সহযোগী হিমাংশু বুধবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ এসকের বাড়িতে পৌঁছন। তাঁর স্ত্রী দরজা খুলে দেওয়ার পরই মহিলাকে একাধিক ছুরির কোপ মারেন বিপিন এবং হিমাংশু । ডাকাতির ঘটনা হিসাবে দেখাতে অভিযুক্তরা এসকের বাড়ি ভাঙচুর করে নিহত মহিলা এবং অমিতের মোবাইল কেড়ে নিয়ে যান ।
এসকে বাড়ি ফিরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলার দেহ উদ্ধার করে। তদন্ত নেমে পুলিশ এসকে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এর পরই পুলিশ চার অভিযুক্ত—এসকে, তাঁর ছেলে অমিত এবং বিপিন এবং হিমাংশুকে গ্রেফতার করে।