ক্যাম্পাসে ঐশী। নিজস্ব চিত্র
ভোট গণনা হয়ে গেলেও আদালতের নির্দেশে ফল ঘোষণা স্থগিত। তবে এ নিয়ে চিন্তিত নন দুর্গাপুরের তরুণী ঐশী ঘোষ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র সংসদ ভোটে সভাপতি পদের লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন বাম জোটের প্রার্থী ঐশী। রবিবার ফোনে তিনি বলেন, ‘‘সারা বছর পড়ুয়াদের মাঝে থেকে কাজ করি। তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে লড়াই করি। তাই নানা বাধা ও হুমকি সত্ত্বেও তাঁরা ভরসা রেখেছেন।’’
ঐশীর বাবা দেবাশিস ঘোষ ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী। দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন কলোনির আবাসনে থাকেন তাঁরা। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শহরের দু’টি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা ঐশীর। তার পরে দিল্লির দৌলতরাম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে যান। সেখানেই এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১৬ সালে জেএনইউ-এ স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন। এখন সেখানেই এমফিল করছেন। ঐশীর বোন ইশিকাও এখন দিল্লির একটি কলেজে পড়াশোনা করছে।
ঐশী বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে দেখি নেতৃত্বকে। তখন থেকে পুরোদস্তুর সংগঠনের কাজে নেমে পড়ি।’’ তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি অংশ ভোট প্রক্রিয়ার শুরু থেকে বিরোধিতা করেছেন। বিশেষ একটি ছাত্র সংগঠনকে ভোট দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের। তা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ভোট গণনায় বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় খুশি ঐশী। তাঁর কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা যে ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। শিক্ষকদের একাংশও অনুপ্রাণিত করেছেন।’’
মা শর্মিষ্ঠাদেবী বলেন, ‘‘ছোট থেকেই ঐশী পড়াশোনায় মনোযোগী। তার পাশাপাশি এখন ছাত্র রাজনীতিতে ওর এই সাফল্যে আমরা খুব খুশি।’’ দুর্গাপুরের সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায়সরকার বলেন, ‘‘ঐশী দিল্লি থেকে দুর্গাপুরে ফিরলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।’’