প্রতীকী ছবি।
মালিশ, তেল মালিশ...! এই হাঁক ট্রেনেও শোনা যাবে এ বার!
ট্রেনে বসে শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে? মাথাটা ঢিসঢিস! চলন্ত ট্রেনের দুলুনিতে ধরে গিয়েছে কোমর বা হাঁটু?
এমন সমস্যার একটাই দাওয়াই— তেল মালিশ! যাত্রীদের জন্য নবতম পরিষেবা হিসেবে এ বার ট্রেনেই শুরু হতে চলেছে তেল মালিশ পরিষেবা! চলন্ত ট্রেনে মাথাটা একটু হালকা করে নিতে, কিংবা ধরে যাওয়া ঘাড়কে এ পাশ-ও পাশ ঘুরিয়ে নিতে পারবেন ‘ম্যাসিওর’-কে দিয়ে। তা-ও নামমাত্র খরচে। চলতি মাসেই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে ইনদওর থেকে। ওই স্টেশন থেকে ছাড়ে এমন ৩৯টি দূরপাল্লার ট্রেনে প্রথম এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে দিল্লি-ইনদওর ইন্টারসিটি, তেমনই রাজ্যের যাত্রীরা ওই পরিষেবা পাবেন ইনদওর-হাওড়া শিপ্রা এক্সপ্রেসে।
এই অভিনব পরিকল্পনা যার মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই পশ্চিম রেলের রতলাম ডিভিশনের ডিআরএম আর এন সূনকারের মতে, প্রতিটি ট্রেনে চার-পাঁচ জন প্রশিক্ষিত পুরুষ ‘ম্যাসিওর’ থাকবেন। যাঁরা কেবল পুরুষ যাত্রীদের এই পরিষেবা দেবেন। যাত্রীরা নিজের আসনে বসেই মালিশ করাতে পারবেন। রেল জানিয়েছে, মূলত মাথা ও ঘাড়-পিঠই মালিশ করা হবে ট্রেনের মধ্যে। তবে কামরায় উপস্থিত মহিলা যাত্রীদের উপস্থিতি অর্থাৎ স্থান-কাল বুঝেই মালিশ করবেন ওই ‘ম্যাসিওর’রা। এ জন্য প্রত্যেক ‘ম্যাসিওর’কে আলাদা কার্ডও দেবে রেল।
খরচ কেমন?
পকেট অনুযায়ী। সব শ্রেণির যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে মালিশের খরচ। একশো, দু’শো ও তিনশো। দামের পার্থক্য কেবল তেলে। মন্ত্রক জানিয়েছে তিনটি ক্ষেত্রেই মালিশের সময় হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট।
সম্প্রতি রেলের সমস্ত জোন ও ডিভিশনকে অপ্রচলিত খাত থেকে আয় বাড়ানোর উপর জোর দেয় রেল মন্ত্রক। বলা হয় উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা জমা দিতে। রতলাম ডিভিশনের জমা দেয় ওই প্রস্তাব। যা মনে ধরে রেল মন্ত্রকের। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সম্প্রতি এই পরিকল্পনা রূপায়ণে ছাড়পত্র দেয় রেল বোর্ড। রতলাম ডিভিশনের মতে, প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার মতো বাড়তি আয় হবে প্রকল্পের শুরুতে। যে আয় আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই মত রেলকর্তাদের। ইনদওরের ওই ‘পাইলট প্রজেক্ট’ সফল হলে তা গোটা দেশে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।