বেঙ্গালুরুতে যানজটের জেরে গাড়ির সারি। ছবি: এক্স (টুইটার)।
গাড়িতে এক কিলোমিটার (কিমি) রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগল ২ ঘণ্টারও বেশি। বুধবার এমনই ভয়াবহ যানজটের সাক্ষী থাকল কর্নাটকের রাজধানী শহর বেঙ্গালুরু। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, ছুটির পর স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়ুয়ারা বাড়ি পৌঁছয় রাত ৯টার পর। পুলিশের তরফে জানা যায়, বুধবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই যানজট চলে। সমাজমাধ্যমে অনেকেই রাত ৯টা পর অফিস থেকে বেরোনোর পরামর্শ দেন।
যানজটের জেরে যান চলাচল কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় আউটার রিং রোড, মরাঠাহল্লি, সারজাপুরা এবং সিল্কবোর্ডের রাস্তায়। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু বন্ধের ডাক দিয়েছিল ‘কর্নাটক জল সংরক্ষণ সমিতি’ নামের একটি যৌথ সংগঠন। কাবেরী নদীর জলবণ্টন নিয়ে তামিলনাড়ুর সঙ্গে পড়শি রাজ্য কর্নাটকের ‘দ্বন্দ্ব’ চলছে। তামিলনাড়ুকে জল ছাড়ার প্রতিবাদে কৃষক সংগঠন এবং অন্য কন্নড় সংগঠনগুলি মঙ্গলবারের বন্ধকে সমর্থন জানায়। এই বন্ধের জেরে বেঙ্গালুরু স্তব্ধ হয়ে যায় মঙ্গলবার। তার পরের দিনই যানজটের নেপথ্যে অতিরিক্ত গাড়ির রাস্তায় নেমে পড়াকেই দুষছে স্থানীয় প্রশাসন। আবার কৌতুকশিল্পী ট্রেভর নোহার একটি অনুষ্ঠান ছিল আউটার রিং রোড এলাকায়। পরে যদিও সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বহু মানুষের ভিড়কেও যানজটের কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
বুধবার মূলত অফিসফেরত জনতা রাস্তায় নামতেই যানজট বাড়তে থাকে। শহরের মূল রাস্তাগুলিতে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। কোনও কোনও গাড়ি ব্রেকডাউন হয়ে যায়। ফুটপাথেও গাড়ি উঠে যাওয়ায় পথচারীদের হাঁটাচলায় অসুবিধা হয়। পুলিশের তরফে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হলেও রাতের আগে ট্র্যাফিক পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়নি। সমাজমাধ্যমে এই বিষয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন নেটাগরিকেরা। কেউ কেউ গাড়ির লম্বা সারির ফেসবুকে পোস্ট করেন, কেউ পোস্ট করেন যানজটের মধ্যেই সিঙাড়া এবং চা বিক্রির ছবি। এক জন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, “৩ ঘণ্টায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করলাম। এটা ভয়াবহ।”