Odisha Governor

স্টেশনে গাড়ি না পাঠানোয় রাজভবনের অফিসারকে ‘মারধর’, অভিযুক্ত ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবরের পুত্র

পুরী স্টেশনে গাড়ি না পাঠানোয় ওড়িশার রাজভবনে কর্মরত এক আধিকারিককে মারধর করার অভিযোগ উঠল সে রাজ্যের রাজ্যপাল রঘুবর দাসের পুত্রের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৮
Share:

অভিযোগপত্র হাতে নিয়ে ‘নির্যাতিত’ অফিসারের স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

পুরী স্টেশনে বিলাসবহুল গাড়ি পাঠাননি। সেই অপরাধেই ওড়িশার রাজভবনে কর্মরত এক আধিকারিককে মারধর করার অভিযোগ উঠল খোদ রাজ্যপালের পুত্রের বিরুদ্ধে। ‘আক্রান্ত’ আধিকারিক ওড়িশার রাজ্যপালের প্রধান সচিব এবং পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন। আপাতত পুরী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই আধিকারিক।

Advertisement

‘আক্রান্ত’ আধিকারিক বৈকুন্ঠ প্রধান ওড়িশার রাজ্যপাল তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের হাউসহোল্ড সেকশনের সহকারী সেকশন অফিসার হিসাবে কর্মরত। তাঁর বয়ান অনুসারে, গত ৫ জুলাই থেকে পুরীতে অবস্থিত রাজভবনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। গত ৭ এবং ৮ জুলাই রথ উপলক্ষে পুরীতে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির থাকার বন্দোবস্ত দেখভাল করতেই ভুবনেশ্বরের রাজভবন থেকে পুরীর রাজভবনে এসেছিলেন তিনি।

রাজ্যপালের পুত্র ললিত কুমার তাঁর কিছু বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে গত ৭ জুলাই পুরী স্টেশনে পৌঁছন। অভিযোগ, তাঁকে রাজভবনে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্টেশনে গাড়ি না পাঠানোয় ক্ষুব্ধ হন ললিত। রাজভবনে পৌঁছে বৈকুণ্ঠকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা এবং বুকে, পেটে, মুখে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে ললিতের বিরুদ্ধে। বৈকুণ্ঠের কথায়, ললিত এবং তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েক জন আমাকে হুমকি দিয়ে বলছিলেন, মেরে ফেললেও কেউ জানতে পারবে না।”

Advertisement

গত সোমবার রাজ্যপালের প্রধান সচিবের কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানান বৈকুন্ঠ। লিখিত অভিযোগ জানান বুধবার। বৃহস্পতিবার বৈকুন্ঠের স্ত্রী সয়োজ প্রধান রাজ্যপালের পুত্রের বিরুদ্ধে পুরীর সি বিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে থানায় মেল করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি রাজ্যপালের প্রধান সচিব শাশ্বত মিশ্র। উত্তর পাওয়া যায়নি পুরীর পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্রের তরফেও। আক্রান্ত অফিসের স্ত্রী বলেন, “আমরা বিচার চাই। আমার স্বামী রাষ্ট্রপতির সফরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। রাজ্যপালের পুত্রের কাজ করা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement