Odisha

Thief: ডাকাতি করে ৩৫ বছরে আয় পাঁচ কোটি টাকা, ওড়িশা পুলিশের জালে ধরা পড়ল হেমন্ত

ভুবনেশ্বররের ডিসিপি মশঙ্কর দাস জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালে হেমন্ত কলেজে পড়াকালীন একবার একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় পুলিশের খাতায় নাম ওঠে তার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কটক শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২১ ২২:৫৫
Share:

নিজস্ব চিত্র

তিন যুগ ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেড়িয়েছে ডাকাত। নয় নয় করে ৫০০-এর বেশি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত সে। সেই হেমন্ত দাসকে ফের গ্রেফতার করল ওড়িশা পুলিশ। সম্প্রতি কটকে একটি বড় ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল সে। তার আগেই ধরে ফেলল পুলিশ। এর আগে ২০১৮ সালে এক বার ও ২০২০ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল হেমন্তকে। কিন্তু বেশিদিন হাজতে কাটাতে হয়নি তাকে। বেরিয়েই সে ফের মন দিয়েছিল ডাকাতিতে।

হেমন্ত বলেছে, ‘‘আমি ১৯৮৬ সাল থেকে ডাকাতি শুরু করেছি। আমি অনেক বড় বড় ডাকাত দলের সঙ্গে কাজ করেছি। সেখান থেকে অনেককিছু শিখেছি। আমি আমার ৩৫ বছরের ডাকাত জীবনে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা উপার্জন করেছি। আমি বিলাসবহুল জীবন কাটাতে এই টাকা খরচ করেছি। শুধু আপনাদের অনুরোধ করছি, আমার মতো হবেন না।’’

Advertisement

ভুবনেশ্বররের ডিসিপি মশঙ্কর দাস জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালে হেমন্ত কলেজে পড়াকালীন একবার একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় পুলিশের খাতায় নাম ওঠে তার। সেই অপরাধে জেলে থাকাকালীন ডাকাতদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে হেমন্তর। ওড়িশা ও বাইরের একাধিক রাজ্যে অসংখ্যা ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় সে যুক্ত। শুধু ভুবনেশ্বরেই ১০০ ডাকাতির সঙ্গে যে যুক্ত। সব মিলিয়ে ৫০০ ডাকাতির ঘটনায় তার নাম জড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির টাকায় বিলাসবহুল জীবন কাটাত হেমন্ত। ওই টাকায় ছুটি কাটাতে যেত সে। পাঁচ তারা হোটেলে থাকত। সামান্য সিঁদকাঠি দিয়েই চুরি ডাকাতি করতে পারত সে। সেই কারণেই তার নাম হয়েছিল ‘ক্রোবার ম্যান’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement