সংবাদমাধ্যমে শাসকদল বিজেডিকে কটাক্ষ করেন নির্যাতিতা। ফাইল চিত্র।
শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনার পরও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সুবিচারের আশায় তাই বিরোধী দলনেতার দ্বারস্থ হলেন ওই বিধায়কের বান্ধবী। ক্ষমতাসীন দলের বিধায়কের কুকর্মের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে তাঁর অসুবিধার কথা জানিয়ে ওই যুবতী বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে অনুরোধ করেছেন, যাতে তিনি বিষয়টি বিধানসভার অধিবেশনে উত্থাপন করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশায়। শাসকদল বিজেডির বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরই ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ বলে পরিচিত এক যুবতী। সম্প্রতি ওড়িশা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে তাঁর অভিযোগটি নিতে রাজি হয়েছে পুলিশ। তবে শুধু সেই অভিযোগটুকু দায়ের হতেই ৯ মাস সময় লেগে গিয়েছে। তার পরও অবশ্য শাসকদলের ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। রবিবার ওড়িশার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জয়নারায়ণ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করে এই সমস্যার কথা জানান ওই যুবতী। তিনি বলেন, ‘‘মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পরও ২১ দিন কেটে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে একরকম বুক চিতিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই বিধায়ক।’’ জয়নারায়ণকে ওই মহিলা অনুরোধ করেছেন, বিষয়টি যেন তিনি বিধানসভায় উত্থাপন করেন।
রবিবার জয়নারায়ণের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে শাসকদল বিজেডিকে কটাক্ষও করেন নির্যাতিতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, বিজেডিতে যোগ দিলেই সবার কলঙ্ক মোচন হয়ে যায়। সে জন্যই শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি।’’
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দলই ওড়িশার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। সেই দলেরই বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগকারিণী রবিবার বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেডির প্রতি তাঁর আর আস্থা নেই। তিনি বলেন, ‘‘শাসকদলের উপর আমার আর কোনও বিশ্বাস নেই। তাই বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমার আশা উনি আমার কথা যথাস্থানে বলবেন।’’
গত কয়েক দিন ধরেই শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন ওড়িশার বিরোধীরা। শনিবার ওড়িশার কংগ্রেস এবং বিজেপির নেতারা ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ না করার প্রতিবাদে দু’টি পৃথক মিছিলও করেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে বিজেডির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।