ভেঙে ফেলা সেই স্কুলবাড়ি। ছবি: পিটিআই।
করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃতদের যে অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছিল, সেই স্কুলবাড়ি বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল শনিবার। সেখানে আবার নতুন করে স্কুলবাড়ি গড়ার কথা ভাবছে ওড়িশা সরকার।
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার পর বাহানগা বাজার হাই স্কুলকে অস্থায়ী মর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাদা কাপড়ে মোড়া সারি সারি মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় ওই স্কুলে। কিন্তু সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। তাই সেখান থেকে ভুবনেশ্বরের মোট চারটি হাসপাতালে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পরই স্কুলটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুল ভাঙার কাজ শুরু হয়। রাতেই স্কুলঘরের চালের অ্যাসবেস্টস খুলে নেওয়া হয়। শনিবার পুরো স্কুলবাড়িই বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিভাবকদের প্রস্তাব মেনেই নতুন করে স্কুল ভবন তৈরি করা হবে। ওড়িশা সরকার ওই স্থানে একটি মডেল স্কুল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে।
বাহানগা হাই স্কুলে শনাক্ত না হওয়া অনেক দেহ ছিল। সেখান থেকে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ‘নর্থ ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিজনেস পার্ক’-এর অস্থায়ী মর্গে। স্কুল চত্বরে দুর্গন্ধ বেরোনোয় স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা ছাড়াও স্যানিটাইজ় করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ওই স্কুলে আর ছেলেমেয়েদের পাঠাবেন না বলে জানিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। বালেশ্বরের জেলাশাসক ওই স্কুলে গিয়েছিলেন। নিজে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পড়ুয়াদের ভয় না দেখানোর বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও অভিভাবকরা রাজি হননি। এর পর স্কুলবাড়িটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করার কথা ভাবে প্রশাসন। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় এই স্কুলটিতে। বর্তমানে সেখানকার পড়ুয়া সংখ্যা ৫৬৫ জন।