National News

ব্রাহ্মণদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সরতে হল কৃষিমন্ত্রীকে

যদিও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে নেন রাউত। পাশাপাশি দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:৫১
Share:

ওডিশার কৃষিমন্ত্রী দামোদর রাউত।

জাতপাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় কৃষিমন্ত্রী দামোদর রাউতকে সরিয়ে দিলেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।

Advertisement

গত ১৭ ডিসেম্বর ওডিশার মালকানগিরিতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পারাদ্বীপের বিধায়ক দামোদর রাউত। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, রাজ্যের কোনও প্রান্তে উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের ভিক্ষা করতে দেখা যায় না। কিন্তু ব্রাহ্মণদের দেখা যায়।

তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মানুষরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাউতের পদত্যাগের দাবি করেন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ ব্রাহ্মণ। তাঁদের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এমন বিরূপ মন্তব্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিল হয়। এই মন্তব্যের জন্য মন্ত্রীকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি তোলেন ব্রাহ্মণরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: নির্বাচনের পর ফের গুজরাতে রাহুল, পুজো দিলেন সোমনাথ মন্দিরে

যদিও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে নেন রাউত। পাশাপাশি দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে সুর পাল্টে বলেন, “ব্রাহ্মণরা উঁচু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের অপমান করিনি। বরং এটাই বলেছি যে, এঁদের আশীর্বাদ পাওয়া পুণ্যের সমান। এই পুণ্যলাভ করতেই আমরা তাঁদের ভিক্ষা দিই। আমাদের সংস্কৃতি তাঁদের সম্মান জানাতে শিখিয়েছে। আমি কি সেই সংস্কৃতির বাইরে? রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই আমার মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: আজই লালুর কন্যার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ইডি

তাঁর দলেরই এক মন্ত্রী জাতপাত নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় নবীন পট্টনায়েককেও। দলের এক জন শীর্ষ নেতার বিরূপ মন্তব্য যে তিনি সহ্য করবেন না, তা-ও বুঝিয়েও দিয়েছেন। মন্ত্রী পরিষদ থেকে সরিয়ে দেন রাউতকে। পট্টনায়েক বলেন, “জাতপাত, ধর্ম নিয়ে অমর্যাদাকর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। মন্ত্রী পরিষদ থেকে দামোদর রাউতকে সরিয়ে দিয়েছি। এ সংক্রান্ত সুপারিশ রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।”

এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন পারাদ্বীপের এই বিধায়ক। গত মাসেই কৃষকদের নিয়ে মন্তব্য করে তাঁদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। সিপিএম সাংসদ বিভুপ্রসাদ তিওয়ারি, দলীয় বিধায়ক বিষ্ণু দাস এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক উপেন্দ্র মল্লিককে ‘হরিজন’ বলে মন্তব্য করায় ২০১০-এ রাউতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement