জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা হচ্ছে না দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
এখনই চালু করা হচ্ছে না গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতি। জানিয়ে দিল দিল্লি সরকার। দূষণ পরিস্থিতির কথা ভেবেই জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার। আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে এই নিয়ম চালু করার কথা ছিল। কিন্তু দিল্লি সরকার জানিয়েছে, রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি হয়েছে। তাই এখনই এই পথে হাঁটছে না তারা। তবে পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে যে, দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান কেমন থাকে সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা উচিত কি না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঘটনাচক্রে, দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে কী পদক্ষেপ করছে সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দিয়েছিল দিল্লি সরকার। সেই হলফনামায় দূষণ সামলাতে জোড়-বিজোড় নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জোড়-বিজোড় নীতি চালু করে আদৌ দূষণ ঠেকানো সম্ভব নয়। এই নীতি চালু করলে তার প্রভাব যে বিশাল কিছু হবে, তেমন তারা মনে করছে না বলেই পর্যবেক্ষণ আদালতের।
জোড়-বিজোড় নীতি নিয়ে শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েই কি এই নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এল কেজরীওয়ালের সরকার? অনেকে অবশ্য তেমনটাই মনে করছেন। যদিও দিল্লির সরকারের দাবি, রাজধানীর বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি হওয়ায় এই পরিকল্পনা থেকে আপাতত সরে আসছে তারা। সোমবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই ঘোষণা করেছিলেন, ১৩-২০ নভেম্বরের মধ্যে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা হবে। কিন্তু তার তিন পরেই উল্টো সুর শোনা গেল তাঁর মুখে।
বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তাতেই কিছুটা ‘স্বস্তি’ ফিরেছে রাজধানীতে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন, বাতাসের গুণগত মান উন্নত হতে পারে বৃষ্টি হলেই। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে দূষণের মাত্রায় বিশেষ হেরফের না-হলেও বিষ-ধোঁয়ার চাদর অনেকটা কেটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই।
শুক্রবারও অবশ্য দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘ভয়াবহ’ পর্যায়েই রয়েছে। সকাল ৭টার পরিসংখ্যান অনুসারে সামগ্রিক ভাবে দিল্লিতে বাতাসের গুণমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৪০৭। বাতাসের গুণমানের নিরিখে সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অশোক বিহারে (৪৪৩)। তার পরে রয়েছে আনন্দ বিহার (৪৩৬), রোহিণী (৪২৯) এবং পঞ্জাবি বাগ (৪২২)।