অন্য বিধায়কদের মতোই শপথ গ্রহণ করলেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। ছবি: এপি।
অন্য কোনও দল নয়, তিনি কেবলমাত্র এনসিপির সঙ্গেই রয়েছেন। বুধবার বিধানসভায় শপথ গ্রহণের পর জানালেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার। সেই সঙ্গে অজিত জানিয়েছেন, দল তাঁর সম্পর্কে যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মাথা পেতে নেবেন।
এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের শপথ গ্রহণ শুরু হয়। বিধায়কদের শপথের জন্য রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারীর আহ্বানে বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন প্রোটেম স্পিকার কালীদাস কোলম্বকর।
লাইভ আপডেট:
• শপথ নেওয়ার পর অজিত বলেন, ‘‘আমি কেবলমাত্র এনসিপির সঙ্গেই আছি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে।’’
• অজিত পওয়ার এনসিপিরই অঙ্গ, জানালেন রোহিত পওয়ার। রোহিত বলেন, ‘‘অজিত জানেন, সরকার কী ভাবে কাজ করে। তাঁর অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে আসবে।’’
• এনসিপি নেতা রোহিত পওয়ারের আশ্বাস, ‘মহা বিকাশ আগাডী’ অবশ্যই আগামী পাঁচ বছর টিকবে। তিনি জানান, অজিত পওয়ারের প্রত্যাবর্তনে দল খুশি।
• শিবসেনার নীলম গোর্হে বলেন, ‘‘বালাসাহেব ঠাকরের স্বপ্ন আজ সত্যি হতে দেখে আমরা আনন্দিত। ‘মহা বিকাশ আগাডী’ নেতৃত্বে থাকবেন উদ্ধব ঠাকরে। শরদজির পথপদর্শন এবং সনিয়া ম্যাডামের এতে যথেষ্ট অবদান রয়েছে। আমরা মহারাষ্ট্রের জন্য কাজ করব।’’
• সাধারণ সদস্য হিসাবে শপথ নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।
• অজিত পওয়ারকে শপথবাক্য পাঠ করালেন প্রোটেম স্পিকার।
• শপথ নিলেন আদিত্য ঠাকরে।
• এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার, ছগন ভুজবল, কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বাণ, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ এবং শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরের মতো হাই প্রোফাইল নেতা-সহ বিধানসভার সমস্ত সদস্যই আজ শপথ নেবেন।
• নির্বাচিত ২৮৮ বিধায়কেরা একে একে শপথ নিচ্ছেন।
• সুপ্রিয়া জানান, আজ খুবই আনন্দের দিন।
• অজিতের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিলেন শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া।
• বিধানসভায় ঢোকার আগে অজিতকে স্বাগত জানালেন শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে।
• বিধানসভায় উপস্থিত হলেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার।
• রাজ্যের সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন প্রোটেম স্পিকার কালীদাস কোলম্বকর।
• শুরু হল বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
• বিধানসভায় এলেন দেবেন্দ্র ফডণবীস।
• বিধায়কদের স্বাগত জানাচ্ছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের কন্যা তথা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে।
• রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারীর আহ্বানে এই বিশেষ অধিবেশন।
• একে একে বিধানসভায় আসতে শুরু করলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়কেরা।
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার ব্যাপারে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি, এই তিন দলের সমঝোতা যখন প্রায় চূড়ান্ত, তখন শুক্রবার মাঝ রাতে ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ করে বিজেপি। এনসিপি ভেঙে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীসের হাত ধরেন শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার। তিনি দাবি করেন, এনসিপির অধিকাংশ বিধায়কই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এর পর অবিশ্বাস্য দ্রুততায় রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের সুপারিশ দিল্লি পাঠান রাজ্যপাল। নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছাড়াই সেই সুপারিশে সায় দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ভোর পৌনে ছ’টায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সইয়ের পরে উঠে যায় রাষ্ট্রপতি শাসন। সে দিনই সকাল আটটায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন অজিত।
আরও পড়ুন: শরদ-জয়ে ‘চাণক্য’ অমিতের দর্পচূর্ণ
সে সময় বিজেপি সূত্র দাবি করে, নিঃশব্দে নেপথ্যে থেকে ‘বাজিমাত’ করেছেন দলীয় সভাপতি অমিত শাহ। কিন্তু হাল ছাড়েননি শরদ পওয়ার। শেষমেশ তাঁর কাছেই পর্যুদস্ত হতে হল গোয়া, মণিপুর, হরিয়ানায় কৌশলে সরকার গড়ে বিজেপির ‘চাণক্য’ হয়ে ওঠা শাহকে।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক হল সুপ্রিম কোর্টের রায়। দেবেন্দ্রদের আশা ছিল, রাজ্যপাল যখন শক্তিপরীক্ষার জন্য ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন, তখন তাতে বাধা হবে না আদালত। কিন্তু শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ আজ জানিয়ে দেয়, বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমস্ত বিধায়কের শপথগ্রহণ সেরে ফেলে সে দিনের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে বিজেপি-কে। ভোটাভুটি হবে প্রকাশ্যে। গোপন ব্যালটে নয়। যা সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরেই একে একে ইস্তফা দেন অজিত ও ফডণবীস। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অজিত সরে যাওয়ার পর তাঁদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বলে জানান ফডণবীস। এর পর রাতেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানায় জোট। রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিারী জোটকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানান।