ছবি: সংগৃহীত।
টেলিভিশনের এক বিতর্কসভায় করা তাঁর মন্তব্যের জেরেই দেশবিদেশে আগুন জ্বলছে বলে অভিযোগ। যার জেরে বিভিন্ন জায়গায় দায়ের হয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ এফআইআর। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন তিনি। সমালোচনার মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশের ভূমিকাও। তবে বিজেপির নিলম্বিত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে আদৌ গ্রেফতার করা হবে কি না তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দিল্লি পুলিশ। সূত্রের দাবি, দিল্লির পুলিশের তদন্তে নূপুর নাকি সহযোগিতা করছেন।
সূত্রের আরও দাবি, নূপুরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা নিয়ে শুক্রবার সারা দিন ধরেই বৈঠকে বসেছেন পুলিশকর্তারা। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন) কেপিএস মলহোত্র জানিয়েছেন, ১৮ জুন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১-এ ধারায় নূপুর শর্মাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নূপুরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া এবং হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা রুজু করার পর ওই নোটিস পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ তাঁর বয়ানও রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে ওই নোটিসের পর প্রায় দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও গ্রেফতার হননি নূপুর। সুপ্রিম কোর্টের কাছে নূপুরের আবেদন ছিল যে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর বিরুদ্ধে করা সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে সরিয়ে আনা হোক। তবে সেই আর্জি খারিজ করে নূপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর লঘু মন্তব্যই দেশে আগুন জ্বালিয়েছে বলে শুক্রবার বলেছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে দিল্লি পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলেননি বিচারপতিরা। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, দিল্লি পুলিশ কী করেছে? ওই টিভি বিতর্কের কী প্রয়োজন ছিল? আদালতে বিচারাধীন বিষয়ই বা কেন টিভি বিতর্কের জন্য বেছে নেওয়া হল? তিনি (নূপুর) একটি রাজনৈতিক দলের (তৎকালীন) মুখপাত্র হলেই বা কী? তিনি কি মনে করেন, আইনকে অশ্রদ্ধা করে যে কোনও মন্তব্য করতে পারেন?