রবিশঙ্কর প্রসাদ। —ফাইল চিত্র।
চারিদিক থেকে তীব্র বিরোধিতার মধ্যেও ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ঝেড়ে কাশলেন না কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। দুইয়ের মধ্যে কোনও সংযোগ থাকার কথা উড়িয়ে তো দিলেনই না,বরং ধন্দ জিইয়ে রাখলেন। তাঁর কথায়, এনআরসি তৈরির ক্ষেত্রে এনপিআরে নথিভুক্ত নাগরিকদের তথ্য ব্যবহার করা হতেও পারে, আবার না-ও হতে পারে।
রবিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘একটা অবস্থান নেওয়া হয়েছে। তবে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে সেই নিয়ে। তার পর বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে। কার, কোথায় আপত্তি খতিয়ে দেখা হবে তা-ও। বিভিন্ন আবেদন খতিয়ে দেখতে হবে। শলাপরামর্শ করা হবে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গেও। যদি কিছু করা হয়, তা প্রকাশ্যেই করা হবে। লুকিয়ে-চুরিয়ে কিছুই হবে না।’’
এনপিআরের অন্তর্ভুক্ত তথ্য এনআরসি তৈরিতে ব্যবহার করা হবে কি না, জানতে চাইলে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘আইন মেনেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এনপিআর-এর কিছু তথ্য এনআরসি-তে ব্যবহার করা হতেও পারে আবার না-ও হতে পারে। তবে তার চেয়েও বড় কথা হল, ভোট দেওয়ার জন্য যেমন ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হয়, প্যান কার্ড এবং পাসপোর্ট তৈরির জন্যও যেমন অনেক তথ্য দিতে হয়। পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, সব ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের তথ্য দিতে হয়। তাহলে শুধুমাত্র এনপিআর নিয়ে এত হইচই কেন, বোধগম্য হচ্ছে না আমার।’’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং এনআরসি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এনপিআর। এনআরসি তৈরিতে একাধিক রাজ্য বেঁকে বসায় এনপিআর-এর মাধ্যমে কেন্দ্র নাগরিকদের তথ্য হাতানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলছেন আন্দোলনকারীরা। তা নিয়ে বিপাকে পড়ে সম্প্রতি সাফাইও দিতে হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। দুইয়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানান তিনি। তার পরই এ দিন এমন মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।