কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।- ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাবের পর এ বার কর্নাটক। বিপুল অঙ্কের কৃষিঋণ মকুব করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করা হয়েছে। ২০ জুন, ২০১৭ বা তার আগে পর্যন্ত যে কৃষকরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁরাই এই সুবিধা পাচ্ছেন বলে আজ কর্নাটক বিধানসভায় সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন। এতে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি-ও স্বাগত জানিয়েছে।
কর্নাটক সরকারের এই সিদ্ধান্তে ২২ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন। সে রাজ্যের সরকারি সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। গত তিন বছর ধরে কর্নাটকের বিস্তীর্ণ এলাকা খরার সঙ্গে যুঝছিল। ফলন মার খাওয়ায় কৃষকেরা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছিলেন। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মতো কর্নাটকেও ঋণ মকুবের দাবি উঠতে শুরু করেছিল। সিদ্দারামাইয়া এ দিন বিধানসভায় কৃষঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করে দেওয়ায় তাই কৃষকদের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া।
কংগ্রেস শাসিত দু’টি রাজ্যে যেমন কৃষিঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তেমনই বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ঋণ মকুবের দাবিতে কংগ্রেস বড়সড় আন্দোলনও শুরু করেছে। ছবি: পিটিআই।
গত সোমবারই কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাব কৃষিঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করেছে। তার দু’দিনের মাথাতেই আর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য কর্নাটক একই পদক্ষেপ করল। এর আগে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রও কৃষিঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে দেশের চারটি রাজ্য কৃষকদের ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করে দিল।
আরও পড়ুন: মোদীর প্রার্থীকেই সমর্থন, ঘোষণা নীতীশের দলের
কর্নাটক বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, তাদের আন্দোলনের চাপেই কংগ্রেসের সরকার এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা জুলাই মাসে তিন দিনের জন্য অনশনে বসার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। কৃষিঋণ মকুবের দাবিতেই ওই কর্মসূচির কথা ভেবেছিল বিজেপি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বিষয়টিকে তত দূর গড়াতেই দিলেন না। তার আগেই কৃষিঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করে দিলেন। বিজেপির হাত থেকে সিদ্দারামাইয়া আপাতত অস্ত্র কেড়ে নিলেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মত।