রাজ্যসভায় একটি বাড়তি আসন ‘টাকার জোরে’ ছিনিয়ে নেওয়ার ফল বিজেপিকে ভুগতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তাঁর মতে, এই জয়ে বিজেপির ‘দলিত-বিরোধী’ ভাবমূর্তি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আরও জোরদার হয়েছে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির ঐক্য।
বিজেপিকে রুখতে সম্প্রতি মায়াবতীর সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করেছেন অখিলেশ। এই সমঝোতার ফলে গোরক্ষপুর ও ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। রাজ্যসভা ভোটেও মায়াবতীর প্রার্থী দলিত সম্প্রদায়ের ভীমরাও অম্বেডকরকে সমর্থন করেছিলেন অখিলেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিতে যান বিজেপি প্রার্থী অনিল অগ্রবাল। মায়াবতীকে বার্তা দিতে রাজ্যসভায় সমাজবাদী প্রার্থী জয়া বচ্চনের জয়ের উৎসব বাতিল করেন অখিলেশ। মায়াবতীও জানিয়ে দেন, অখিলেশের সঙ্গে জোট বজায় থাকবে।
এক সাক্ষাৎকারে অখিলেশ জানিয়েছেন, বিজেপি যে ভাবে ভীমরাওকে হারাতে টাকা ও ক্ষমতা ব্যবহার করেছে তা থেকে স্পষ্ট তারা দলিত-বিরোধী। এ বার এই প্রচারই চালাবে সমাজবাদী পার্টি। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের ছেড়ে যাওয়া গোরক্ষপুর ও ফুলপুর আসনে আমাদের জয় তাৎপর্যপূর্ণ। যোগীজি সারা দেশে প্রচার করছিলেন। কিন্তু নিজের কেন্দ্রই সামলাতে পারলেন না।’’ অখিলেশের মতে, ওই দুই কেন্দ্রে জয়ে সারা দেশেই বিজেপি-বিরোধীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। সমর্থনের জন্য মায়াবতীকে ধন্যবাদও দিয়েছেন সমাজবাদী নেতা।
আরও পড়ুন: মোদীর অ্যাপেই তথ্য ফাঁস, খোঁচা রাহুলের
অখিলেশ জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ভোট আরও এগিয়ে এলে চিত্রটি স্পষ্ট হবে।
তাঁর স্ত্রী ও কনৌজ কেন্দ্রের সাংসদ ডিম্পল যাদব ২০১৯ সালে আর ভোটে নাও লড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন অখিলেশ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ডিম্পলকে ঘিরে আমাদের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। ও আর ভোটে নাও লড়তে পারে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রাজনাথ সিংহের মতো বিজেপি নেতারা পরিবারতন্ত্র চালান। বিজেপি নিজেদের ঘর সামলাক। তারপর আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবে।’’