সিআইএসএফে চাকরি ২৫ বছর, তবু বাদ নাম!

বর্তমানে বাঁকুড়ার দুর্লভপুরে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছেন সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল মামুদ। ২৫ বছর ধরে সিআইএসএফে আছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ০৩:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুলিশ, বায়ুসেনা, সেনার পরে এ বার সিআইএসএফ কর্মীর নামেও ডি-ভোটার নোটিস! কিন্তু নোটিস হাতেই পেলেন না কামরূপের বাসিন্দা মামুদ আলি। বদলে পেলেন এনআরসির অতিরিক্ত তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার চিঠি!

Advertisement

বর্তমানে বাঁকুড়ার দুর্লভপুরে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছেন সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল মামুদ। ২৫ বছর ধরে সিআইএসএফে আছেন তিনি। প্রতি বার লোকসভা, বিধানসভা ভোটে ভোট দেন পোস্টাল ব্যালটে। এ বারেও দিয়েছেন। এনআরসির চূড়ান্ত খসড়ায় তাঁর ও পরিবারের সকলের নাম ছিল। কিন্তু বুধবার জানতে পারেন, নগরবেরার দোলাগাঁওতে থাকা তাঁর বাড়িতে সরকারি চিঠি এসেছে। জানানো হয়েছে, ডি-ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকায় এনআরসি থেকে নাম বাদ পড়েছে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ছুটি নিয়ে ট্রেনে চাপেন তিনি। শনিবার ছয়গাঁও এনআরসি সেবাকেন্দ্রে গিয়ে সিআইএসএফের পরিচয়পত্র, ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভোটার তালিকা, ১৯৪৭ সালে তাঁর বাবা কেরামত আলির নামে থাকা স্কুলের সার্টিফিকেট, ১৯৬৬ সালে বাবার নাম থাকা ভোটার তালিকা— সব কিছুর প্রতিলিপি জমা দিয়ে আসেন।

৪৭ বছর বয়সি মামুদ বলেন, “আড়াই দশক ধরে সিআইএসএফে থাকার পরে আমায় সন্দেহজনক নাগরিক হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হল। নিজের ভারতীয় হওয়ার প্রমাণ দিতে হচ্ছে। এটা খুবই লজ্জার। সীমান্ত শাখা বা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কেউ আমাকে বা পরিবারের কাউকে ডি-ভোটার নোটিস পাঠায়নি। কেন, কিসের ভিত্তিতে আমার নাম এনআরসি থেকে বাদ দেওয়া হল, তার সদুত্তর চাই।” জেলা পুলিশের মতে, কোথাও কোনও ভুল বোঝাবুঝির ফলেই সম্ভবত মামুদ আলির নাম বাদ পড়েছে। গত মাসেই প্রাক্তন সেনা সুবেদার মহম্মদ সানাউল্লাহকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করে জেলে পাঠায় এই জেলারই ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। পরে গৌহাটি হাইকোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়। এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হয়।

Advertisement

গত জুলাইয়ে প্রকাশিত চূড়ান্ত খসড়ায় বাদ পড়েছিল ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৭ জনের নাম। অতিরিক্ত তালিকায় আরও ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৬২ জনের নাম বাদ পড়ে। অবশ্য গত তালিকায় বাদ পড়া ৪০ লক্ষের মধ্যে ৩১ লক্ষ ২০ হাজার আবেদনকারী ফের নাম ঢোকানোর জন্য আবেদন করেছেন। আবার আগের তালিকায় নাম থাকা প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে আপত্তিও জমা পড়েছে। চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশিত হবে ৩১ জুলাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement