জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল চিত্র।
ইলাহাবাদ হাই কোর্টের অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে গত ৪ অগস্ট থেকে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালাচ্ছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই)। মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে সমীক্ষা চালানো হয় মসজিদের উত্তরের দেওয়াল, গম্বুজ এবং বেসমেন্টে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সরকারি আইনজাবী জানিয়েছেন, তিনটি দলে ভাগ হয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন এএসআইয়ের আধিকারিকেরা। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মতোই মসজিদ চত্বরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালাচ্ছে এএসআই। আরও এক আইনজীবী জানিয়েছেন, এএসআইয়ের দলটি সমস্ত রকম প্রমাণ সংগ্রহ করছেন। মসজিদের গম্বুজ, উত্তরের দেওয়াল এবং বেসমেন্টে সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
সমীক্ষার সময় জ্ঞানবাপী চত্বরে হাজির ছিলেন মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি)-র সদস্যেরাও। কিন্তু সমীক্ষার খবর যাতে কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত না হয়, সেই আর্জি জানিয়ে জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন কমিটির সদস্যেরা। মুসলিম পক্ষ তাঁদের আবেদনে জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে এএসআই সমীক্ষা করছে। কিন্তু আধিকারিকেরা কোনও বিবৃতি দিচ্ছেন না। শুধু তাই-ই নয়, এই সমীক্ষা সমাজমাধ্যম, টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রে প্রতিনিয়ত খবর হিসাবে প্রকাশিত হচ্ছে।
সমীক্ষার এই ধরনের খবরাখবর দেখানো হলে তা ‘ভ্রান্তি’ সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি জনমানসেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে ওই আবেদনে জানিয়েছে মুসলিম পক্ষ। তাই সংবাদমাধ্যমে খবর এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলেই মনে করে তারা। প্রসঙ্গত, গত ৪ অগস্টে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের অনুমোদন পাওয়ার পরেই পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জ্ঞানবাপী চত্বরে ঢুকে কাজ শুরু করেন। তার পর থেকে সমীক্ষা চলছে। মঙ্গলবার ছিল সমীক্ষার পঞ্চম দিন।