নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিবাদ উত্তর-পূর্বে

গত লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি পেশই করা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আসতে চলেছে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী বিল। আর তারই প্রতিবাদে সোমবার থেকে গুয়াহাটি-সহ উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের রাজধানীতে শুরু হচ্ছে প্রতিবাদ। অসমে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশ্য নেডা জোটের চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মা সকলকে আশ্বস্ত করেছেন, এ বারের বিলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে, এখানকার সমস্যা বুঝে প্রয়োজনীয় অদলবদল ঘটানো হয়েছে সংশোধনীটিতে।

Advertisement

গত লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি পেশই করা হয়নি। ফলে লোকসভা মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিলটি খারিজ হয়ে যায়। সে সময় অসমে বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপির জোট শরিক এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে নেডা জোটের অন্য দলগুলিও বিলের বিরোধিতায় নামে। অসমে ইস্তফা দেন অগপর তিন মন্ত্রী।

কিন্তু এবারে বিলটি সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হওয়া প্রায় নিশ্চিত। তাই অসমে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ প্রতিবাদে নেমেছে। বাম গণতান্ত্রিক মঞ্চ নামের জোট গড়ে ১১টি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছে, তারা সোমবার থেকে বিলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামবে। উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যে আন্দোলন শুরু করবে উত্তর-পূর্ব ছাত্র সংগঠন নেসো।

Advertisement

আসু ও নেসোর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, “অসম চুক্তি অনুযায়ী বিদেশির সংজ্ঞা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। তা বদলে দেওয়ার অর্থ অসম চুক্তি অস্বীকার করা।’’ তবে হিমন্তবিশ্ব শর্মার বক্তব্য, আগের বিলের সঙ্গে এই বিলের ফারাক রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তর-পূর্বের সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তার ভিত্তিতেই নতুন খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানান, উত্তর-পূর্বে জারি থাকা ৩৭১ ধারা, ষষ্ঠ তফশিল আইন, বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার অ্যাক্ট-এই সবই আগের মতোই বলবৎ থাকবে। ভূমিপুত্রদের অধিকারও খর্ব হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement