আরও বিপাকে নয়ডার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেড’। প্রতীকী চিত্র।
উজবেকিস্তানে শিশু মৃত্যুর জেরে আরও বিপাকে নয়ডার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেড’। সংস্থার সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ওষুধ রফতানি পর্ষদ ফার্মেক্সিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে থাকা ফার্মেক্সিল সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে জানিয়েছে, তাদের জন্য বিশ্বের দরবারে ভারতের ‘বদনাম’ হয়েছে। ভারতের ওষুধশিল্প এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভবিষ্যতে ওষুধ তৈরির বিষয়ে ভারতের প্রতি আর কেউ আস্থা রাখতে পারবেন না। তাই তাদের ফার্মেক্সিলের সদস্যপদ বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ফার্মেক্সিল আর বিদেশে ওষুধ রফতানি করতে পারবে না।
ভারতে তৈরি সর্দিকাশির সিরাপ খেয়ে উজবেকিস্তানে ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে গত ২৮ এবং ৩০ ডিসেম্বর সংস্থার চেয়ারম্যান শচীন জৈনের কাছে চিঠি দেয় ফার্মেক্সিল। উপযুক্ত জবাব না পেয়েই সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে ‘ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডে’র সব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয় শুক্রবার টুইট করে জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কনট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় তল্লাশি অভিযান চালায়। তারপরই বৃহস্পতিবার রাতে ওই সংস্থার নয়ডা ইউনিটে সব ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবারই ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডকে সর্দিকাশির সিরাপ ‘ডক-১ ম্যাক্স’ উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। পাশাপাশি, প্রোপিলিন গ্লাইকলযুক্ত অন্য ওষুধগুলির উৎপাদনও বন্ধ রাখতে বলা হয় অভিযুক্ত সংস্থাকে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে উজবেকিস্তানে নাম নথিভুক্ত করিয়েছিল ম্যারিয়ন বায়োটেক। তার পর থেকে সেই দেশে তাদের তৈরি ওষুধ যায়। বর্তমানে তাদের সরবরাহ করা সর্দিকাশির সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উজবেকিস্তান সরকার। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ভারতে তৈরি ওই সর্দিকাশির সিরাপে প্রোপিলিন গ্লাইকলের মাত্রার তারতম্য ছিল। সে কারণেই ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েক জন শিশু অসুস্থও হয়ে পড়েছে ওষুধ খেয়ে।