ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছ পরিচারিকাকে লিফটের মধ্যে মারধর করছেন শেফালি। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। ভিডিয়ো থেকে প্রাপ্ত ছবি।
অক্টোবর মাসেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ৬ মাসের চুক্তি। তার পরেও কুড়ি বছরের পরিচারিকাকে বাড়ি যেতে দেননি গৃহকর্ত্রী। উল্টে ওই পরিচারিকাকে নিয়মিত মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরিচারিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার নয়ডার একটি বহুতল আবাসন থেকে দড়ি বেয়ে নীচে নামার চেষ্টা করেন ওই পরিচারিকা। পথচারীরা এই দৃশ্য দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় তিনি জানান, তাঁকে ওই আবাসনের ৪ তলায় জোর করে আটকে রেখেছেন তাঁর মালকিন শেফালি কৌল। পেশায় আইনজীবী ৪০ বছরের এই মহিলা তাঁকে বাড়ি যেতে না দিয়ে জোর করে আটরে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আবাসনের লিফটের মধ্যে অভিযুক্ত শেফালি ওই পরিচারিকাকে মারধর করছেন। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিচারিকার নাম অনিতা। তিনি নয়ডার গড়হী চৌখণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা। অনিতার বাবা পদম সিংহ থানায় শেফালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, ৬ মাসের চুক্তি শেষ হওয়ার পরেও তাঁকে মেয়েকে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। পদমের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে দিয়ে সব কাজ করাতেন শেফালি। অনিতা তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে নিয়মিত মারধরও নাকি করতেন। পদমের আরও দাবি, অনিতার কাছ থেকে ফোনও কেড়ে নিয়েছিলেন শেফালি।
পদমের এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শেফালিকে আটক করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে মধ্য নয়ডার পুলিশ কমিশনার সাদমিয়ান খান জানিয়েছেন, অনিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ণ মিলেছে। সব দিক মাথায় রেখেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।