রবিবার দেশে ফিরেছেন নয়ডার ব্যবসায়ী প্রবীণ শর্মা।
এক কুখ্যাত অপরাধীর মুখের সঙ্গে মিল থাকায় গত ১১ অক্টোবর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল আবু ধাবির পুলিশ। নয়ডায় সেই ব্যবসায়ী প্রবীণ শর্মা দেশে ফিরলেন রবিবার ভোরে। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা মালা পরিয়ে স্বাগত জানালেন প্রবীণকে।
প্রবীণ জানান, আবু ধাবি বিমানবন্দরে নামতেই তাঁদের ঘিরে ধরে পুলিশ। জানানো হয়, যে অপরাধীকে পুলিশ খুঁজছে, সেই অপরাধীকে ঠিক তাঁর মতোই দেখতে। অতএব তাঁকে আটক করা হচ্ছে। যদিও কিছু ক্ষণ পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিমানবন্দর চত্বরে কিছুটা এগিয়ে যেতেই আবার প্রবীণ এবং তাঁর স্ত্রীকে আটকানো হয়। এ বার আবু ধাবির সিআইডি তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায়। তার পরই তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
প্রবীণের দাবি, “সারা রাত ধরে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল আমাকে। জোর করে স্বীকার করানো হয়, আমিই সেই অপরাধী। তার পর, পর দিন সকাল হতেই অন্য একটি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জেরা করা হয় আমাকে।” রবিবার ভোরেই দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখেন প্রবীণ। গত কয়েক দিনের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন প্রবীণ।
প্রবীণ নয়ডার এক সিমেন্ট ব্যবসায়ী। সিমেন্ট সংস্থা তাঁকে সুইৎজারল্যান্ড ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে সুইৎজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যে বিমানে করে প্রবীণ গিয়েছিলেন, সেটির গন্তব্যস্থল ছিল আবু ধাবি পর্যন্ত। সেখান থেকে অন্য একটি বিমানে সুইৎজারল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আবু ধাবিতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
প্রবীণের ‘দোষ’ ছিল আবু ধাবির এক কুখ্যাত অপরাধীর সঙ্গে তাঁর মুখের মিল। আর সেই ‘দোষেই’ চরম হয়রানির শিকার হতে হয় প্রবীণকে। তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও, স্ত্রী উষা শর্মাকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সে দিনই। ঘটনার কথা জানার পরই প্রবীণের বাড়ির সদস্যরা জেলা প্রশাসন, উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং বিদেশমন্ত্রকের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে যোগাযোগ করেন। তার পরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। প্রবীণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।