Lynchimg

জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানো যায় না, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান ঘিরে দেশ জুড়ে এখন বিতর্ক। স্লোগানে গলা না মেলানোয় হেনস্থা এমনকি পেটানোর ঘটনাও ঘটছে। অভিযোগ বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়া দিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৪:৫১
Share:

মুখতার আব্বাস নকভি — ফাইল চিত্র

জোর করে কাউকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানো যায় না এবং এটা আইন বিরুদ্ধ— বললেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, “গণপিটুনির মতো অপরাধ দমন করতে সরকারের হাতে প্রয়োজনীয় আইন রয়েছে। কাউকেই জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা যায় না।”

Advertisement

‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান ঘিরে দেশ জুড়ে এখন বিতর্ক। স্লোগানে গলা না মেলানোয় হেনস্থা এমনকি পেটানোর ঘটনাও ঘটছে। অভিযোগ বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে। গত জুন মাসেই ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তবরেজ আনসারি নামে এক যুবকের। তাঁকে জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘জয় হনুমান’ বলানোর পর, পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। জুন মাসেই অসমের বরাপেটায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হাতে আক্রান্ত হন একদল সংখ্যালঘু মানুষ। মুম্বইয়ে মুসলিম ট্যাক্সিচালককে মারধর করা হয়। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও জয় শ্রীরাম না বলায় ট্রেনে মাদ্রাসা শিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।

এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির আবহেই ভিন্ন বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তবে গণপিটুনির মতো অপরাধ নিয়ে কড়া বার্তা দিলেও, শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকারের হয়েই ব্যাট ধরেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উদাহরণ তুলে ধরে তাঁর মন্তব্য, “রাজস্থানে গণপিটুনির ঘটনায় (বসুন্ধরা রাজে জমানায়) ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত ৬ মাস ধরে তারা জামিনও পাচ্ছে না।” তবে এমন অপরাধ দমনে আগাম ব্যবস্থা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। শুধু বলেছেন, “আপনি কাউকেই জোর করে কিছু করাতে পারেন না। কিন্তু আপনি বন্দে মাতরম গাইতেও অস্বীকার করতে পারেন না। কোনও দিক থেকেই কোনও গোঁয়ার্তুমি থাকাটা উচিত নয়।

Advertisement

নকভির কথায়, “যদি আপনি কোনও গ্রামে যান সেখানে প্রত্যেকেই রাম রাম বলে সম্বোধন করেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন বলেই এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ নয়। বরং, দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের ডিএনএ-তেই ধর্মনিরপেক্ষতা রয়েছে।”

আরও পড়ুন : ‘শক্তি পরীক্ষায় ভয় পাচ্ছে বিজেপি, কর্নাটকে জিতব আমরাই’, দাবি সিদ্দারামাইয়ার

আরও পড়ুন : নাগাড়ে বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে ব্রহ্মপুত্র, বিধ্বস্ত অসমে মৃত ৬, ঘরছাড়া কয়েক লক্ষ​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement