মঙ্গলবার বিশেষ কর্মসূচিতে যোগ দিতে পটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বিহারে জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ)-এর দূরত্ব কি ক্রমেই বাড়ছে? মঙ্গলবারের ঘটনা সেদিকেই ইঙ্গিত করল। পটনায় বিশেষ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে কোনও বিজ্ঞাপন দিল না মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার।
বিষয়টি আরও বেশি প্রকট হল, যখন বিরোধী শাসিত প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও এই নিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হল। মঙ্গলবার পটনার আগে দেওঘরে এমসের একটি ভবন এবং বিমানবন্দর উদ্বোধনে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী।
পটনায় বিধানসভা ভবন ১০০ বছরে পা দিয়েছে। শতবর্ষ উদ্যাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটি স্তম্ভের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। একটি জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এই প্রথম বিহার বিধানসভায় যাচ্ছেন কোনও প্রধানমন্ত্রী।
স্পিকার বিজয়কুমার সিনহার অনুপ্রেরণাতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। বিজয়কুমার বিজেপির। বিজ্ঞাপন না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল, সোমবার একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচি যাতে ঐতিহাসিক হয়ে ওঠে, সেজন্য সরকার রাত-দিন কাজ করছে।’’ সোমবারের বিজ্ঞাপনে সাধারণ মানুষকে এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জেডিইউয়ের প্রবীণ নেতারা অবশ্য বলছেন, বিজ্ঞাপন না দেওয়াটা নেহাতই ভুলবশত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানালেন, ইচ্ছা করে বিজ্ঞাপন না দেওয়ার অভিযোগ বাড়াবাড়ি। অন্য এক নেতা বললেন, ‘‘স্পিকারের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তাই স্পিকারের সচিবালয় এই নিয়ে সক্রিয় রয়েছে। রাজ্য সরকারের দফতরগুলো থেকে যা সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল, করা হয়েছে।’’
নীতীশ কুমারের সরকারের তরফে কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া না হলেও বিহারের বালি ব্যবসায়ী জীবন কুমারের তরফে সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। জীবনের হিন্দু জাগরণ ম়ঞ্চ নামে একটি সংগঠন রয়েছে। গত বছর জীবনের ছেলের জন্মদিনে গিয়েছিলেন কয়েক জন জেডিইউ নেতা। এর পর কয়েক মাস সেই নেতাদের সঙ্গে কথা বলেননি নীতীশ।
গত কয়েক মাস ধরেই জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য হচ্ছে জেডিইউয়ের। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়েও কেন্দ্রের যুক্তি মানেনি জেডিইউ। অস্থায়ী ভিত্তিতে সেনা নিয়োগের বিরোধিতা করেছে বিহারের শাসক দল।