কুস্তিগিরদের ঘৃণা ভাষণ বা দেশ-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির একাংশ অভিযোগ তুলেছিল, যন্তরমন্তরে ধর্নার সময়ে দেশ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ঘৃণা-ভাষণ দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিরেরা। কিন্তু আজ ওই মামলায় দিল্লি পুলিশ পাটিয়ালা আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায়, কুস্তিগিরদের এ ধরনের ঘৃণা ভাষণ বা দেশ-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আগামী ৭ জুলাই ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে গত মাসের মাঝামাঝি থেকে আন্দোলনে বসেছিলেন আন্তর্জাতিক পদকপ্রাপ্ত কুস্তিগির সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা। যন্তরমন্তরে সেই ধর্না চলাকালীন ওই কুস্তিগিরেরা দেশ-বিরোধী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কুকথা বলেছেন ও ঘৃণা-ভাষণ দিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘অটল জন পার্টির’ নেতা বমবম মহারাজ। তার ভিত্তিতে অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকা দিল্লি পুলিশকে একটি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন। অভিযোগকারী কুস্তিগিরদের কু-কথা বলার প্রমাণ হিসেবে দিল্লি পুলিশের কাছে একটি পেন ড্রাইভ দিয়েছিলেন বমবম মহারাজ। যার ভিত্তিতে আজ দিল্লি পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে ঘৃণা-ভাষণের প্রমাণ মেলেনি। তবে ভিডিয়ো ক্লিপে বেশ কিছু শিখ আন্দোলনকারীকে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। যাঁদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের পরে আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত আন্দোলনে বিরতি টেনেছেন কুস্তিগিরেরা। সরকারের পক্ষে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দিল্লি পুলিশ কুস্তিগিরদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত করছে সেই তদন্ত রিপোর্ট ১৫ জুনের মধ্যে জমা পড়বে। সরকার প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হলে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়ে রেখেছেন কুস্তিগিরেরা। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, আজ ব্রিজভূষণের উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে তাঁর সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায় দিল্লি পুলিশের দল। অবশ্য ব্রিজভূষণের পাল্টা দাবি, তাঁর বাড়িতে কেউ আসেননি।