ফাইল চিত্র।
আগামি বুধবার কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন সামিট (এসসিও)-এ উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু সেখানে কোনও পার্শ্ববৈঠক হবে না এই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে। সোমবার এ কথা স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, ‘‘আসন্ন এসসিও বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী এবং নওয়াজ শরিফের মধ্যে কোনও বৈঠক নির্ধারিত নেই।’’
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের দিক থেকে চেষ্টা করা হচ্ছিল যাতে অন্তত একটি পার্শ্ববৈঠক করা সম্ভব হয়। সেখানে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ঘরোয়া রাজনীতিতে কিছুটা সুবিধা আদায় করে নেওয়া লক্ষ্য ছিল শরিফের। কিন্তু ভারত যে এখন পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম শীর্ষ বৈঠকে যাবে না তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সুষমা।
বিদেশমন্ত্রীর দাবি, কুলভূষণ যাদবের মামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান কাশ্মীর প্রসঙ্গটি আন্তর্জাতিক আদালতে তুলতে চাইছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘চেষ্টা করলেও পাকিস্তান সেটা কখনই করতে পারবে না। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে একমাত্র দ্বিপাক্ষিক স্তরেই আলোচনা সম্ভব। আন্তর্জাতিক আদালতে নয়।’’ বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার সময় থেকেই পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিদানে আমরা পেলাম পঠানকোট হামলা। আজও এই তদন্ত আটকে রেখে দিয়েছে ইসলামাবাদ। ’’
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকে এ দিন তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। তিনি বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তির জন্য পাকিস্তানই দায়ী। তবে এই ছবি বেশি দিন থাকবে না। সেনাকে বলা আছে পাকিস্তান যদি একটা গুলি ছোড়ে তবে পাল্টা গুলিবর্ষণের জন্য কোনও হিসেব রাখার দরকার নেই।’’