রজনীকান্ত। -ফাইল চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে নিজের জায়গাটা স্পষ্ট করে দিলেন রজনীকান্ত। কোনও ভাবেই যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে চান না, বরং পিছনে থেকেই দলের ভাল-মন্দের দেখভাল করবেন, বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন থালাইভা।
দু’বছর আগে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তামিল এই সুপারস্টার। যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজের দলের নাম ঘোষণা করেননি। তবে সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি তিনি দলের নাম ঘোষণা করতে পারেন। রাজনীতিতে এলে তিনি যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সে নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২১ সালেই তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই তাই তিনি রাজনীতিতে নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করে দিলেন।
বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুর একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে ৬৯ বছরের রজনীকান্ত বলেন, “আমি কখনও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ভাবিনি। আমি শুধু রাজনীতিতে পরিবর্তন চেয়েছি… যদি এখন পরিবর্তন না আসে, তাহলে তা আর কোনওদিনই আসবে না।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, কোনও প্রকৃত শিক্ষিত এবং অন্যদের প্রতি সংবেদনশীল তরুণকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান।
আরও পড়ুন: বজবজে মাঝগঙ্গায় তলিয়ে গেল ভিন্দেশি বার্জ, নিরাপদে নাবিকরা
২০২১ সালে তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রথম করুণানিধি এবং জয়ললিতার ছত্রছায়া ছাড়াই ভোট হবে তামিলনাড়ুতে। জয়ললিতার মৃত্যুর পর, পন্নিরসেলভমের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের বিরোধ মিটিয়ে তামিলনাড়ুতে সরকার গড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ই পলানিস্বামী। মুখ্যমন্ত্রী ই পলানিস্বামীর সামনে তাই এটাই হবে অ্যাসিড টেস্ট। তার মধ্যে গত নভেম্বরেই রজনীকান্ত এবং কামাল হাসন রাজনীতিতে একসঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আড়াল থেকে চাল শাহেরই, খেলা বিজেপির অন্দরেও
রজনীকান্তের সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার খবর বহু দিন ধরেই চলে আসছে। ২০১৭ সালে নিজেই রাজনীতিতে পা রাখার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজের দল গঠন করেননি বা করে উঠতে পারেননি। অন্য দিকে, ২০১৮ সালে নিজের দল মক্কল নিধি মইয়ম (এমএনএম)-এর প্রতিষ্ঠা করেন কমল হাসন। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনেও অংশ নেয় তাঁর দল। তাতে অবশ্য মাত্র ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল এমএনএম। একটা আসনও জেতেনি। তাই ২০২১-এ তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রজনীর সঙ্গে তাঁর জোট বাঁধা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।