সেরা ৩০০, নেই ভারতের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠনের মান, শিক্ষক, নিত্যনতুন গবেষণা, শিক্ষাদানের পরিবেশ, পেটেন্ট থেকে প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক পরিচতি—এ ধরনের বিষয়গুলির উপর সমীক্ষা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভারতের উচ্চশিক্ষার করুণ অবস্থা ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। ব্রিটেনের ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই), গতকাল যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে প্রথম ৩০০-র মধ্যে স্থান পায়নি ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানও। যদিও আড়াই মাসে আগে সে দেশেরই সংস্থা ককারেলি সাইমন্ড (কিউ এস) সংস্থার করা সমীক্ষায় বিশ্বের সেরা ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের তিনটি প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছিল।

Advertisement

কেন ওই পার্থক্য তা জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে যাচাই করার জন্য সংস্থাগুলির নির্দিষ্ট কিছু সূচক রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠনের মান, শিক্ষক, নিত্যনতুন গবেষণা, শিক্ষাদানের পরিবেশ, পেটেন্ট থেকে প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক পরিচতি—এ ধরনের বিষয়গুলির উপর সমীক্ষা করা হয়। এ ক্ষেত্রে দু’টি সংস্থা পৃথক-পৃথক সূচককে গুরুত্ব দেওয়াই সম্ভবত ফলাফলে তারতম্যের কারণ। তবে মন্ত্রক কর্তারা স্বীকার করে নিয়েছেন, দু’টি সমীক্ষা থেকেই স্পষ্ট— এখনও কাঙ্ক্ষিত আন্তর্জাতিক মানের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি ভারতের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।

গত ১৬ বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর সমীক্ষা চালাচ্ছে টিএইচই। এ বছর ৯২টি দেশের প্রায় ১৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। যার মধ্যে ভারতের ছিল ৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়— গতবারের চেয়ে সাতটি বেশি। ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, বেঙ্গালুরু। তবে গতবারের ২৫১-৩০০ শ্রেণি থেকে নেমে এসেছে ৩০১-৩৫০-এ। একই শ্রেণিতে রয়েছে আইআইটি রোপারও।

Advertisement

কিউ এস তালিকায় ভারতের এক নম্বর তথা বিশ্বের ১৬২তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি, মুম্বই রয়েছে ৪০১-৫০০ শ্রেণিতে। সামগ্রিক তালিকায় চার বছর ধরে টানা প্রথম অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ স্থান পেয়েছে ৮০১-১০০০ শ্রেণিতে।

কিউএস তালিকার প্রথম ২০০-তে ভারতের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জায়গা পেতেই ঘটা করে প্রেস বিবৃতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। কিন্তু এ বার ফল আশানরূপ না হওয়ায় প্রকাশ্যে নীরব রয়েছে মন্ত্রক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement