—প্রতীকী চিত্র।
বইয়ের ভারে এমনিতেই নুয়ে পড়া পিঠ। তার উপর হোমওয়ার্কের বোঝা। বড় হয়ে ওঠার তাড়ায় কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছিল শৈশব। এ বার তা থেকে নিস্তার পেতে চলেছে একরত্তিরা। বড়দিনের আগে তাদের জন্য এমনই উপহারের সম্ভার নিয়ে হাজির কেন্দ্র।
২০২০-র স্কুলব্যাগ নীতি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। তাতেই ছেলেবেলা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে খুদে পড়ুয়াদের। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে না তাদের। বইয়ের ভার ২ কেজির বেশি হওয়া চলবে না।
জুলাই মাসে যে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশ (এনইপি) করে কেন্দ্রীয় সরকার, তাতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত হোমওয়ার্ক এবং ব্যাগের ভার সংক্রান্ত নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। গত ২৪ নভেম্বর রাজ্য সরকারগুলির কাছেও সেই মর্মে নির্দেশিকা পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বন্ধের সন্ধ্যাতেই আলোচনায় আহ্বান শাহের, বৈঠকে যোগ দেবেন কৃষকরা
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের তত্ত্বাবধানে ননা ধরনের সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ব্যাগের ওজন বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, ব্যাগের ওজন শরীরে ওজনের ১০ শতাংশের বেশি হওয়া চলবে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে ব্যাগের ওজন ১.৬ থেকে ২.২ কেজির মধ্যেই রাখতে হবে, কারণ ওই বয়সে একজন শিশুর বয়স সাধারণত ১৬ থেকে ২২ কেজির মধ্যে ঘোরাফেরা করে।
একই ভাবে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ওজন যেখানে ৩৫ থেকে ৫৮ কেজির মধ্যে ঘোরাফেরা করে, সে ক্ষেত্রে ব্যাগের ওজন ৩.৫ থেকে ৫ কেজির মধ্যেই থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বিজেপি নিজের মিছিলে নিজেই লোক মারে, বললেন মমতা
কোন শ্রেণির পড়ুয়া কত ঘণ্টা হোমওয়ার্ক করবে, তা-ও বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনও পড়ুয়াকে হোমওয়ার্ক না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বরং সন্ধ্যা কেমন কাটল, কী কী খেলায় অংশ নিয়েছে, কী খেয়েছে তা নিয়ে ক্লাসরুমে কথা বলতে উৎসাহ দিতে হবে তাদের। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক দিন হোমওয়ার্কের সময়সীমা ২ ঘণ্টা।
তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টার হোমওয়ার্ক দিতে বলা হয়েছে। ষষ্ঠ এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের দিনে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা হোমওয়ার্ক করতে দেওয়া যাবে।