ভুবনেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে আজ ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। সেখানেই তিনি জানালেন, এত দিন কোনও রকম অগ্নি সুরক্ষা ছাড়াই চলছিল ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস।
এই প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, ওড়িশার ৫৬৮টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র তিনটি হাসপাতালে অগ্নিসুরক্ষা সংক্রান্ত দমকলের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকি হাসপাতালগুলি সেই ছাড়পত্র ছাড়াই রমরমিয়ে চলছে।
ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে অগ্নি সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আজ আর্জি জানিয়েছেন নড্ডা। আর ভুবনেশ্বরের ওই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ওড়িশা সরকারকে কড়া পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছেন নড্ডা। এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ওড়িশা সরকারকে আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশনও।
গত সোমবারই ভুবনেশ্বরের ওই হাসপাতালটি পুড়ে যায়। আজ আহতদের আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে নেমে গত কালই হাসপাতালের সুপার-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাসপেন্ড হয়েছে চার কর্মী। এর পরেই ওই হাসপাতালের মালিক মনোজ নায়েককে গ্রেফতার করার দাবি ওঠে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক তিনি। বছর ছাপ্পান্নর ওই ব্যক্তি আগে একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষকতা করতেন। মনোজের রাজনৈতিক যোগাযোগও বেশ ভাল বলেই দাবি অনেকের। গত কাল গ্রেফতারির পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের সুপার। বুকে ব্যথা নিয়ে আজ তাঁকে কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।