প্রতীকী ছবি।
টিকার মজুত প্রায় শেষ দিল্লিতে। তাই বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের কোভ্যাক্সিন টিকাকরণ। দিল্লির সরকার জানিয়েছে, আপাতত এই টিকা পাবেন শুধু প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং ৪৫ ঊর্ধ্বরাই।
পাশাপাশি কেন্দ্রকে অবিলম্বে টিকা পাঠানোর অনুরোধও করেছে দিল্লি। সরকারের কাছে করোনার কোন টিকা কতটা পরিমাণে রয়েছে তার একটি হিসাব জানিয়ে দিল্লি সরকার বলেছে, ‘‘এই মুহূর্তে সরকারের কাছে ৪ দিনের মতো কোভ্যাক্সিন টিকা রয়েছে। যা দিল্লির প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং ৪৫ ঊর্ধ্বদের দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোভিশিল্ড এবং অন্যান্য টিকা রয়েছে আরও ৯ দিনের মতো। কেন্দ্র অবিলম্বে টিকা না পাঠালে কিছুদিনের মধ্যেই দিল্লিতে বন্ধ করতে হবে টিকাকরণ কর্মসূচি।
মঙ্গলবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছিলেন, আর মাত্র কয়েকদিনের টিকা মজুত আছে দিল্লিতে। যে গতিতে দিল্লিতে টিকাকরণ হচ্ছে, তা চললে কিছুদিনের মধ্যেই ওই টিকা শেষ হয়ে যাবে। দিল্লিতে প্রতিদিন ১.২৫ লক্ষ দিল্লিবাসীর টিকাকরণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন কেজরীবাল। কিন্তু বুধবারই প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত কোভ্যাক্সিন টিকা ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের দেওয়া হবে না। ফলে কিছুটা হলেও কমবে দৈনিক টিকাকরণের এই হার।
দিল্লি সরকার জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সরকারের হাতে যে কোভ্যাক্সিন টিকা আছে তা আপাতত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং ৪৫ ঊর্ধ্বদেরই দেওয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবেন তাঁরা, যাঁরা ইতিমধ্যেই প্রথম টিকা নিয়ে ফেলেছেন। কোভিশিল্ড-সহ অন্যান্য টিকার মজুতও কম। তাই সময়ে টিকার জোগান না পেলে পুরোপুরিই বন্ধ করতে হবে টিকাকরণ।