ভোপালের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বক্তৃতা। ছবি: পিটিআই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অগস্টের ‘মন কি বাত’-এ ‘‘দো গজ দূরি, মাস্ক জরুরি’’ দাওয়াই দিয়েছিলেন তিনি। আর শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার্তা দিলেন, ‘‘যব তক দাওয়াই নহি, তব তক ঢিলাই নহি।’’ অর্থাৎ, যতদিন পর্যন্ত কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকরী ওষুধ না আসছে, সতর্কতায় বিন্দুমাত্র ঢিলে দেওয়া চলবে না।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহহীনদের জন্য ১ লক্ষ ৭৫ হাজার বাড়ি তৈরি করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সেই উপলক্ষে এদিন ভার্চুয়াল গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মোদী। সেখানে তিনি দু’গজের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরার মতো সতর্কতার কথাও বলেছেন।
১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে চতুর্থ পর্বের আনলক প্রক্রিয়া। রুটি-রুজির টানে ভিড় বাড়ছে পথেঘাটে। এগিয়ে আসছে দুর্গাপুজো, দশেরা, দীপাবলি উৎসবের মরসুম। কিন্তু এখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দৈনিক নতুন সংক্রমণের হার ১ লক্ষ ছুঁয়ে নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী এই আবহে দেশবাসীকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে আরও সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোভিড-ধস্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ‘দিশাহীন উড়ান’ চাঙ্গিতে
ভারতে করোনা টিকা প্রস্তুত করতে অন্তত সাতটি পৃথক গবেষণা চলছে। ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, জাইডাস ক্যাডিলা, প্যানাসিয়া বায়োটেক, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস, মাইনভ্যাক্স অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল-ই-র মতো সংস্থা এই উদ্দেশ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর সহায়তায় ভারত বায়োটেকের তৈরি সম্ভাব্য করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
আরও পড়ুন: মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ নয়, রায় বম্বে হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেরাম ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’-এর হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হলেও কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার জেরে তা আপাতত স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ফলে করোনা-টিকায় সাফল্য কবে আসবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বার্তা মেলেনি এখনও। তাই ‘ঢিলাই’ অর্থাত্, কড়াকড়ি শিথিলের কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।