ইউক্রেন ফেরত ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ফাইল ছবি।
ইউক্রেন ফেরত ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য নয়া ঘোষণা জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি)। মঙ্গলবার এনএমসি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যার মর্মার্থ, পাঠ অসমাপ্ত রেখে ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরা পড়ুয়ারা পড়া শেষ করতে পারবেন কিন্তু তা ভারতের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়, করতে হবে ইউক্রেন নির্দেশিত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ, বিদেশে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বিশেষ সামরিক অভিযানের নামে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাশিয়া। সেই যুদ্ধ থামার নাম নেই। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন ইউক্রেনে চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়তে যাওয়া ভারতীয় তরুণ-তরুণীরা। কারণ, যুদ্ধ শুরুর পরই তাঁদের দলবেঁধে ফিরতে হয়েছে দেশে। এ দেশেও অসম্পূর্ণ পাঠ শেষ করার সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। কিন্তু আপাত ভাবে স্বস্তির খবর দিল এনএমসি। মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন যে ‘অ্যাকাডেমিক মোবিলিটি প্রোগ্রাম’-এর ঘোষণা করেছে, তাতে সম্মত হয়েছে এনএমসি। অর্থাৎ, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করার অনুমতি দেবে এনএমসি। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়েই অসমাপ্ত পাঠ শেষ করার সুযোগ পাবেন ভারতীয় পড়ুয়ারা।
ইউক্রেনের ‘অ্যাকাডেমিক মোবিলিটি প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে, ভারতীয় পড়ুয়ারা বিদেশের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ সমাপ্ত করবেন। কিন্তু ডিগ্রি দেবে ইউক্রেনে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা ভর্তি হয়েছিলেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর ‘অপারেশন গঙ্গা’র মাধ্যমে সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত নিয়ে আসে বিদেশ মন্ত্রক। ফেরত আসাদের নাগরিকদের মধ্যে সিংহভাগই ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া ভারতীয় তরুণ-তরুণী। প্রাণ বাঁচিয়ে দেশে ফিরলেও, পড়াশোনার কী হবে তা নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করলেও জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন জানিয়ে দেয়, ইউক্রেন ফেরতদের ভারতের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়ার কোনও সংস্থান নেই। ফলে প্রবল অনিশ্চয়তায় পড়ে যান ইউক্রেন ফেরত কয়েক হাজার ডাক্তারি পড়ুয়া। এ বার জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল, তাঁরা পড়া শেষ করতে পারবেন। কিন্তু তাঁদের পড়তে যেতে হবে অন্য কোনও দেশে।