Baguiati Students Murder

জোড়া খুনের ঘটনায় অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী, ‘ক্লোজ’ করা হল বাগুইআটি থানার আইসিকে, তদন্তভার সিআইডির হাতে

বাগুইআটি থানার আইসিকে ‘ক্লোজ’ করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে নিয়ে দেওয়া হয়েছে সিআইডির হাতে। দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:০৯
Share:

জোড়া খুনের মামলার তদন্ত করবে সিআইডি। ফাইল ছবি।

বাগুইআটিতে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ‘অত্যন্ত ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাগুইআটি থানার আইসিকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। ফিরহাদ জানান, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, দোষীকে খুঁজে বার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ফিরহাদ আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে সব রকম ভাবে শোকাতুর পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র অতনু এবং অভিষেক। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই স্কুল পড়ুয়া নিখোঁজ হয় গত ২২ অগস্ট। দু’দিন তাদের কোনও খোঁজ না পেয়ে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। পরিবারের অভিযোগ ছিল, দু’জনকেই অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অতনুর বাবা অভিযোগ করেন, তিনি বেশ কয়েক বার উড়ো ফোন পেয়েছেন। মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজও পেয়েছেন। অপহরণকারীরা নির্দিষ্ট কোনও জায়গা বলেনি। বরং বার বার বদলেছে মুক্তিপণের অঙ্ক।

Advertisement

এর মধ্যে গত ২৪ অগস্ট থেকে দুই কিশোরের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে বেশ কিছু তথ্য। পুলিশ জানতে পারে, দুই কিশোরকে অচেনা কেউ নয়, ‘অপহরণ’ করেছে তাদের পরিচিতই।

অতনুর পরিবারের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক সত্যেন্দ্র চৌধুরির। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ অগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে অতনু। ঠিক তখনই সত্যেন্দ্রর ফোন। কী কারণে অতনুকে ফোন করেছিলেন সত্যেন্দ্র? অতনুর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, একটি বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্রকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল দশম শ্রেণির পড়ুয়া অতনু। কিন্তু বাইক কেনা হয়নি। অভিযোগ, ওই দিন অতনুকে নিজেই ফোন করে বাইক কেনার জন্য ডাকেন সত্যেন্দ্র। বেশ খুশি মনেই বাড়ি থেকে বার হয় অতনু। সঙ্গে নেয় সমবয়সি তুতো ভাই অভিষেককে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সত্যেন্দ্র গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। সেই গাড়িতেই দুই কিশোরকে নিয়ে রাজারহাটে একটি বাইক শোরুমে যান। কিন্তু বাইক পছন্দ হয়নি সত্যেন্দ্রের। তাই শোরুম থেকে দু’জনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ছোটে গাড়ি। বিধাননগর পুলিশের দাবি, ওই দিন রাতেই খুন করা হয় দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। মন্ত্রী ফিরহাদের দাবি, তদন্ত যে ভাবে এগিয়েছে, তাতে পুলিশের ভূমিকায় ‘ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রী। যে কারণেই ওই পদক্ষেপ করা হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement