নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র
ফের বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলল কেন্দ্রের শাসক জোট এনডিএ-র শরিক দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। এই মর্মে প্রস্তাবও পাশ করানো হয় দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে। শনিবার দিল্লিতে এনডিএ-র দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শরিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। উপস্থিত ছিলেন দলের সব সাংসদ, বিধায়কেরা।
বৈঠকের পর নীতীশের দলের এক নেতা বলেন, “বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি নতুন কিছু নয়। বিহারের উন্নতির রেখচিত্র বজায় রাখতে এবং নানা প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” বিশেষ রাজ্যের মর্যাদার পাশাপাশি বিহারে সংরক্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি করে যে ৬৫ শতাংশ করা হয়েছে, তা সংবিধানের নবম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলা হয়েছে বৈঠকে। এর পাশাপাশি ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এ অনিয়ম নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়েছে জেডিইউ-র বৈঠকে।
বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব নীতীশ। মূলত বিহারের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পশ্চাদপদতার কথা তুলে এই মর্যাদা দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। এনডিএ সূত্রে খবর, কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া বিজেপির তরফে এই মর্যাদা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কারণ সরকার বাঁচাতে লোকসভায় ১২ জন সাংসদ থাকা নীতীশের দলকে প্রয়োজন পদ্মশিবিরের। এই আবহে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে বড় শরিক বিজেপির উপর জেডিইউ চাপ বৃদ্ধির কৌশল নিল কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
শনিবার জেডিইউ-র জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় ঝাকে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়। নীতীশ অবশ্য দলের জাতীয় সভাপতি পদেই রইলেন।