নীতীশ কুমার। ছবি: পিটিআই।
এক দশকের মধ্যে চতুর্থ বার জোট বদল করে নবম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন রবিবার। এ বার জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে সে রাজ্যের বিধানসভায়। নীতীশের দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র অরলেকরের অনুমোদন নিয়ে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আস্থাভোটের মুখোমুখি হবেন তিনি।
২০২২ সালে লালু প্রসাদের দল আরজেডি, কংগ্রেস ও অন্যান্য কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারে সরকার গঠনের পর নীতীশ বলেছিলেন, আমৃত্যু তিনি বিজেপির সঙ্গে যাবেন না! পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঘোষণা করেছিলেন, নীতীশের জন্য বিজেপির দরজা চিরতরে বন্ধ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত রবিবার আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির দুই উপমুখ্যমন্ত্রী, সম্রাট চৌধরি এবং বিজয়কুমার সিন্হাকে সঙ্গে নিয়ে এনডিএ-র নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী পরে শপথ নেন নীতীশ।
লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গত্যাগ করে নীতীশ ফের নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরায় বিহার তো বটেই, জাতীয় স্তরেও রাজনীতির অঙ্ক কষাকষি শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন সমীকরণে কার লাভ হল, আর কার ক্ষতি, তা-ই এখন আলোচ্য হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কংগ্রেস, আরজেডির মতো দলগুলির দাবি, নীতীশের এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তনে ক্ষতি হবে না ইন্ডিয়ার।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ বিধায়কের সমর্থন। আরজেডির রয়েছে ৭৯ জন বিধায়ক। এ ছাড়া, কংগ্রেসের ১৯, সিপিআইএমএল লিবারেশনের ১২, সিপিএমের ২, সিপিআইয়ের ২ এবং ১ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন বিজেপি বিরোধী মহাজোটে। অর্থাৎ, ১১৫ বিধায়ক রয়েছেন বিরোধী শিবিরে। এ ছাড়া হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর এক জন বিধায়কও প্রয়োজনে ‘মহাগঠবন্ধন’কে সমর্থন করতে পারেন। অন্য দিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝিঁর ‘হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা’ (হাম)-এর ৪, বিজেপির ৭৮ এবং নীতীশের ৪৫ মিলে সরকারপক্ষে রয়েছেন ১২৭ জন বিধায়ক।