নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই দরকষাকষি শুরু হয়ে গেল বিহারের এনডিএ জোটের দুই শরিকের মধ্যে। জেডিইউ নেতৃত্ব প্রকাশ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই রাজ্যে ভোট লড়বে এনডিএ। অন্য দিকে, বিজেপি জানিয়েছে, লোকসভা ভোট হবে নরেন্দ্র মোদীর মুখকে সামনে রেখেই। আসন রফার প্রশ্নেও বড় অংশের দাবি জানাতে শুরু করেছে জেডিইউ। এই পরিস্থিতিতে ৭ জুন পটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই মঞ্চ থেকেই নীতীশকে নেতা হিসেবে তুলে ধরবে জেডিইউ।
গত কাল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেন জেডিইউ নেতৃত্ব। সেখানে দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী, আর সি পি সিংহ, পবন বর্মা, অজয় আলোকরা হাজির ছিলেন। ডাকা হয়েছিল ‘নির্বাচনী কৌশলকার’ প্রশান্ত কিশোরকেও। বৈঠক শেষে নেতাদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বসেন নীতীশ। পরে পবন বর্মা বলেন, ‘‘বিহারে এনডিএ-র মুখ নীতীশ কুমার। সে কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী। জোটের বড় অংশীদারও জেডিইউ।’’ দলের অন্যতম মুখপাত্র অজয় আলোক বলেন, ‘‘আসন রফা নিয়ে দ্বিধা নেই। আগে জেডিইউ ২৫টি আসনে এবং বিজেপি ১৫টি আসনে লড়ত। এখন অন্য শরিকরাও জোটে এসেছেন। আসন রফা নিয়ে বড় নেতারা বসেই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে জল মাপছে। দলের নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারে এনডিএ-র নেতা নীতীশ কুমার। বিহারে নরেন্দ্র মোদীর নামেও ভোট পাওয়া যাবে, নীতীশ কুমারের নামেও ভোট পাওয়া যাবে। কোথাও কোনও বিবাদ নেই।’’ তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পটনার সাংসদ রামকৃপাল যাদব অবশ্য এ দিন বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী দেশের নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই ভোটে লড়বে সকলে। কে কী বলছে, তাতে কিছু এসে যায় না।’’
আরও পড়ুন: শিবসেনাকে জোটে ডাক পওয়ারের
বিহারে মোট লোকসভা আসন ৪০টি। গত নির্বাচনে বিজেপি একক ভাবে পেয়েছিল ২২টি। তৎকালীন শরিকদের আসন মিলিয়ে এনডিএর দখলে ছিল ৩১টি আসন। জেডিইউ পায় মাত্র ২টি। তখন অবশ্য জেডিইউ এনডিএতে ছিল না। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের ফলকে মাথায় রেখে নীতীশকে চালকের আসনে বসাতে চাইছে না বিজেপি। শুরু হয়েছে চাপ, পাল্টা চাপের রাজনীতি।